English

37 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
- Advertisement -

উন্নয়নকে স্থায়ী রূপ দিন: লাউতলা খাল পুনরুদ্ধার

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

কয়েক দশক আগেও ঢাকা মহানগরীর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতো অর্ধশতাধিক খাল। তখন জলাবদ্ধতার সমস্যা ছিল না বললেই চলে। এখন এসব খালের বেশির ভাগেরই অস্তিত্ব নেই। খালের জায়গা দখল করে বাড়িঘর, স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।

খাল ভরাট করে রাস্তা বানানো হয়েছে। কিছু খালের অংশবিশেষের অস্তিত্ব থাকলেও সেগুলো ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বর্ষায় পানি জমে সেগুলো শুধু মশার বংশবিস্তার ঘটাতে পারে। অতীতে কিছু খালের মালিকানা ছিল ঢাকা ওয়াসার হাতে, কিছু খালের মালিকানা অন্যান্য কর্তৃপক্ষের হাতে।
এসব খাল সংস্কারের নামে শত শত কোটি টাকা খরচ করা হলেও বাস্তবে সেসব খালের অবনতিই হয়েছে। বছরখানেক আগে খালগুলোর মালিকানা দুই সিটি করপোরেশনের হাতে হস্তান্তর করা হয়। এর পর থেকেই খাল উদ্ধারে কিছু বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়া হতে থাকে। তারই ফলস্বরূপ মোহাম্মদপুরের বছিলা এলাকায় থাকা লাউতলা খালটি নাব্যতা ফিরে পেয়েছে। গত বৃহস্পতিবার চারটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার নৌপথ ভ্রমণের মাধ্যমে খালটির উদ্বোধন করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। স্থানীয় মানুষ এখন উদ্ধারকৃত খালের সৌন্দর্য উপভোগ করছে।
রাজধানীর খালগুলো উদ্ধারে অতীতে অনেক অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ঢাকঢোল পিটিয়ে ও অনেক অর্থ ব্যয় করে চালানো সেসব অভিযান বাস্তবে কোনো কাজে আসেনি। অভিযানে কিছু স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু খালের সীমানা নির্ধারণ, খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা, দখলমুক্ত রাখার স্থায়ী কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
ফলে অভিযানের পরপরই নতুন করে স্থাপনা তৈরি হয়েছে। কোথাও কোথাও স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ খালে পড়ে থাকায় সেগুলো আবার দখলের কাজটি সহজ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকার বেশির ভাগ খাল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয় দুই সিটি করপোরেশনকে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) গত জানুয়ারি মাসে লাউতলা খালের ওপর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করে।
তারপর শুরু হয় খননকাজ। উদ্বোধনকালে মেয়র জানান, সীমানা নির্ধারণের পর খালের দুই পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। তিনি খাল রক্ষায় সবার সহযোগিতা চেয়ে বলেন, খালে কেউ বর্জ্য ফেলবেন না।

লাউতলা খাল উদ্ধারে ডিএনসিসি যে ভূমিকা পালন করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ময়লার ভাগাড়ের পরিবর্তে এখন সেখানে স্বচ্ছ পানির প্রবাহ। তাতে মানুষ নৌকায় ভ্রমণ করছে। সমগ্র চিত্রটি অত্যন্ত প্রশান্তিদায়ক। তবে খাল উদ্ধারের প্রক্রিয়া আরো দ্রুত করা প্রয়োজন। দু-এক বছরের মধ্যেই ডিএনসিসির অধীনে থাকা সব খাল একইভাবে নাব্য হবে—এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা। একই সঙ্গে সিএস নকশা অনুযায়ী খালগুলোর সীমানা নির্ধারণ ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ স্থায়ীভাবে সম্পন্ন করতে হবে।

Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন