English

33 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
- Advertisement -

দ্রুত নির্মাণকাজ শুরু হোক: ক্লাস চলে বটতলায়

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

নদীর ধারে বটগাছ। সেই গাছের নিচে একেবারে প্রাকৃতিক পরিবেশে শিশুদের শিক্ষাদান চলছে। এমন একটি দৃশ্য দেখতে ভালো লাগতে পারে। প্রকাশিত একটি সচিত্র প্রতিবেদনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা মাটিতে মাদুর বিছিয়ে বসা।

শিক্ষক পাঠদান করছেন। কিন্তু এই দৃশ্যের নেপথ্যে যে সত্যিটা লুকিয়ে আছে, তা হলো দেশের প্রাথমিক শিক্ষার দৈন্য।
খাগড়াছড়ি সদরের জোরমরম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১০ বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ছিল বিদ্যালয় ভবনটি। সর্বশেষ চার মাস আগে এক ভূমিকম্পে ভবনে ফাটল দেখা দেয়। এরপর একমাত্র ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন শিক্ষা কর্মকর্তারা। এর পর থেকে বিদ্যালয়টির ক্লাস চলছে পরিত্যক্ত ভবনের পাশের বটতলায়। ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের পাকা ভবন পায় ১৯৯৪ সালে। কিন্তু নির্মাণকাজ খারাপ হওয়ায় আরো ১০ বছর আগেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে ভবনটি।
তবে সর্বশেষ ভূমিকম্পে ভবনটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়। এখন ভবনের ছাদ থেকে প্লাস্টার খসে খসে পড়ছে। কংক্রিট ধসে রড বেরিয়ে এসেছে। বিম ও পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ভবনটিতে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
আমরা জানি, ‘সবার জন্য শিক্ষা’—এই লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু এখনো শহর ও গ্রামের স্কুলের লেখাপড়ার মান নিয়ে প্রশ্ন আছে। শিক্ষার ভিত্তি গড়ে ওঠে যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেগুলোর মানও সবখানে সমান নয়। অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপযুক্ত ভবন নেই, আসবাব বা শিক্ষা উপকরণ নেই বললেই চলে।

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে সমমানের করে গড়ে তোলা গেলে এক অনির্ধারিত অথচ অনিবার্য প্রতিযোগিতা থেকে রক্ষা পেত আমাদের শিশু শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে দৃষ্টি দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০২০ সালে প্রকাশিত এক খবর থেকে জানা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরনো ভবন সম্প্রসারণ করে চারতলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জরুরি ভিত্তিতে অস্থায়ীভাবে তিনটি কক্ষ নির্মাণের জন্য তিন লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে এলজিইডি। এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু হতে পারে। এ ছাড়া নতুন ভবন নির্মাণের ব্যাপারে ঢাকায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। আমরা আশা করব, দ্রুত এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ শুরু হবে।

Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন