English

31 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
- Advertisement -

অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করুন: বাড়ছে খুনখারাবি

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, দেশ ক্রমেই এক অরাজক পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে চলেছে। ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি—এসব তো আছেই, সেই সঙ্গে ক্রমেই বাড়ছে খুনখারাবি। খুনিরা এতটাই বেপরোয়া যে তারা কাউকে পরোয়া করে বলে মনে হয় না। প্রকাশ্যেই খুন করা হচ্ছে।

ফলে দেশব্যাপী জনমনে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পত্রপত্রিকা খুললেই এমন অনেক নিষ্ঠুর খবর চোখে পড়ে, যা সুস্থ মস্তিষ্কের যেকোনো মানুষকে উদ্বিগ্ন করে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমন বাজে অবস্থা নিয়ে পত্রপত্রিকায় বহু লেখালেখি হচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকেই যাচ্ছে।
প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, গত বুধবার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বাবার কোলে থাকা তিন বছরের শিশু তাসপিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। শিশুটির বাবা সৌদিপ্রবাসী আবু জাহেরও চোখে গুলিবিদ্ধ হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জমির মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষের সময় তাঁরা গুলিবিদ্ধ হন।
বুধবার রাতে কুমিল্লার বুড়িচংয়ে আনন্দ টেলিভিশনের উপজেলা প্রতিনিধি এবং কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত দৈনিক কুমিল্লার ডাক পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মহিউদ্দিন সরকার নাইমকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেছে। জানা যায়, মাদক চোরাকারবার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় মাদক কারবারিরা তাঁকে হত্যা করে থাকতে পারে। আরেকটি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভায়। পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. লিটন মিয়া ঘাট এলাকায় চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় তাঁর সামনেই সন্ত্রাসীরা তাঁর ছেলে হরগঙ্গা কলেজের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ঝলককে কুপিয়ে হত্যা করে। একই দিনে প্রকাশিত অন্য এক খবরে জানা যায়, শুধু কক্সবাজার জেলায় আগের ১২ দিনে ১৩ খুনের ঘটনা ঘটেছে। রাজধানীর কলাবাগানে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মৃতদেহ পাওয়া গেছে, যাঁর সারা শরীরে কাটা দাগ রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে শুধু সন্ত্রাস বাড়েনি, সেই সঙ্গে বেড়েছে অপরাধ কর্মকাণ্ডে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার। পাড়া-মহল্লার ছোটখাটো সন্ত্রাসীরাও এখন প্রায়ই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করছে। কিশোররাও জড়িয়ে পড়ছে সংঘবদ্ধ অপরাধে। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের সময় থেকেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার বেশি করে চোখে পড়ছে।
তখন থেকেই পত্রপত্রিকায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে দেশব্যাপী ব্যাপক ও সমন্বিত অভিযান পরিচালনার দাবি জোরদার হতে থাকে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এখন পর্যন্ত আমরা সে রকম সমন্বিত অভিযান দেখতে পাইনি। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হলেও তা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার কমাতে পারছে না। আমরা চাই, অস্ত্র উদ্ধারে সারা দেশে একযোগে সমন্বিত অভিযান পরিচালিত হোক। প্রতিটি ঘটনায় অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক এবং দ্রুততম সময়ে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন