English

39 C
Dhaka
বুধবার, মে ১, ২০২৪
- Advertisement -

গতি ফিরুক অর্থনীতিতে: ঈদের কেনাকাটা

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

করোনার ভয় কাটিয়ে চেনা চেহারায় ফিরেছে জনজীবন। দুই বছর পর এবার ঈদের বাজার জমে উঠেছে। রাজধানীর বিপণিবিতানগুলোতে যেমন উপচে পড়া ভিড়, তেমনি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়েছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেড়েছে।

এই বাড়তি চাহিদাই এখন আমাদের অর্থনীতির রক্ষাকবচ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন দেশের অর্থনীতিবিদরা। সে বিচারেই এবারের ঈদ আমাদের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য আলাদাভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ঈদ উদযাপনকে কেন্দ্র করে করোনাজনিত অর্থনৈতিক অচলাবস্থায় ঝিমিয়ে পড়া খাতগুলোতে গতি সঞ্চার হলে তা পুরো অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক হতে পারে। এতে দেশব্যাপী টাকার লেনদেন বাড়বে। করোনার দুর্দশা কাটিয়ে দুই বছর বাদে পুরোমাত্রায় ঈদ উদযাপন অর্থনীতির জন্য একটি বড় সুখবর।
করোনাকালে দেশের কুটির-ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প অর্থাৎ দেশের ছোট ছোট পোশাক প্রস্তুতকারক ও বাজারজাতকারীদের প্রবৃদ্ধি ধাক্কা খেয়েছিল। এবারের ঈদে পুরোপুরি আগের ধারায় না ফিরলেও গত দুই বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য মাত্রায় পোশাক বিক্রি বাড়বে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। শুধু ছোট পোশাক প্রস্তুতকারকরাই নন, বড় বড় ফ্যাশন হাউসও এবার বিক্রির ব্যাপারে আশাবাদী।
গ্রামাঞ্চলে উৎসবকেন্দ্রিক চাহিদা দ্রুত আরো বাড়ছে। আর সে কারণেই ঈদ ঘিরে ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রবৃদ্ধির উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এর বাইরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সও ঈদ অর্থনীতিতে যুক্ত হবে। কারণ ঈদের সময় প্রবাসীরা তাঁদের আত্মীয়-স্বজনের বাড়তি ব্যয় মেটাতে টাকা পাঠান।

সম্প্রতি পালিত হয়েছে নববর্ষ উৎসব। ফলে ধরে নেওয়া যায়, চলতি এপ্রিল মাসের দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই বাজার সরগরম রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঈদের ব্যবসা-বাণিজ্যের সুফলও পৌঁছে যাবে সব স্তরে। ফলে অর্থনীতির গাঝাড়া দিয়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় আগামী দুটি সপ্তাহ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হবে। ব্যবসায়ীরা, বিশেষত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা এবং নতুন যুক্ত হওয়া অনলাইন উদ্যোক্তারা যেন এই সময়ে নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারেন সে জন্য সর্বাত্মক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।

বছরের দুই ঈদ দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। রোজার ঈদ জমে ওঠে পোশাক, খাদ্যপণ্য, কসমেটিকস, জাকাত-ফিতরাকে কেন্দ্র করে। কোরবানির ঈদে অর্থনীতি জমে পশুর বাজার ঘিরে। করোনার কারণে গত দুই বছর ঈদে অর্থনীতি ধুঁকেছে। এবার ঈদ বাজার ঘিরে দেশের অর্থনীতি আরো চাঙ্গা ও গতিশীল হচ্ছে।

প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ঈদে পোশাকসহ পরিধেয় খাতে ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার কোটি, জুতা-কসমেটিকস তিন হাজার কোটি, ভোগ্য পণ্য সাত হাজার কোটি, জাকাত-ফিতরা ও দান-খয়রাত ৩৮ হাজার কোটি, যাতায়াত বা যোগাযোগ খাতে ১০ হাজার কোটি, সোনা-ডায়মন্ড পাঁচ হাজার কোটি, ভ্রমণ খাতে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি, ইলেকট্রনিকস চার হাজার কোটি, স্থায়ী সম্পদ ক্রয় এক হাজার কোটি, পবিত্র ওমরাহ পালন তিন হাজার কোটি, আইন-শৃঙ্খলাসহ অন্যান্য খাতে লেনদেন হয় এক হাজার কোটি টাকা।

দুই বছর পর এবারের ঈদ উদযাপনে আনন্দের পাশাপাশি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে এমন ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই চাঙ্গাভাব ধরে রাখতে হবে।

Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন