English

38 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
- Advertisement -

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই কাম্য: অবিশ্বাস্য! অমানবিক!

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

অবিশ্বাস্য! অবর্ণনীয়! বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, এখনো আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে এমন সব ঘটনা ঘটছে! এখনো এ দেশে ঋণের ফাঁদে ফেলে মানুষকে সর্বস্বান্ত করা হয়। ছয় মাসের শিশুসন্তানকে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এর পরও সেই ঋণ শোধ হয় না। কে জানে এখন পর্যন্ত কতজনকে এমন পরিস্থিতিতে পড়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়েছে।

সব খবর তো আর গণমাধ্যমে আসে না। জানারও সুযোগ থাকে না। প্রকাশিত হয়েছে এমনই এক হৃদয়বিদারক ঘটনার কথা।
প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বসবাস করা এক দম্পতি মাত্র পাঁচ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন লাকী বেগম নামের প্রতিবেশী এক নারীর কাছ থেকে। দুই বছরে সেই ঋণের বিপরীতে দুই লাখ ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এর পরও সেই ঋণ শোধ হয়নি। এক বছর আগে আরো ৬০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। না দিলে শারীরিক নির্যাতনের ভয় দেখানো হয়।
এ অবস্থায় ওই দম্পতি লাকীর ব্যবস্থামতো নিজেদের ছয় মাসের পুত্রসন্তানকে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হন। শিশুটিকে কিনে নেন মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার রানু বেগম নামের এক নারী। শিশুটির মা রানী বেগম পাঁজরভাঙা বেদনা নিয়ে নিজ সন্তান বিক্রির পুরো ৬০ হাজার টাকাই তুলে দেন অতি ক্ষমতাধর লাকী বেগমকে। এর পরও এই দম্পতির ঋণ শোধ হয় না। গত ১৪ এপ্রিল লাকী বেগম আবারও এসে হাজির।
এবার তাঁর দাবি আরো এক লাখ তিন হাজার টাকা। উপায়ান্তর না দেখে এবার লাকী বেগমের হুমকি মাথায় নিয়েই ওই দম্পতি পুলিশের শরণাপন্ন হন। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গত শনিবার রাতে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেছে। বিপদ বুঝতে পেরে লাকী বেগম লাপাত্তা। তবে শিশুটিকে কিনে নেওয়া রানু বেগমকে আটক করা হয়েছে।
ভাবতে কষ্ট হয়, রাজধানীর পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় কয়েক বছর ধরে এ ধরনের একটি অমানবিক ঘটনা অবলীলায় ঘটে এসেছে।
সেই সুদখোর মহিলা নিশ্চয়ই মাত্র একটি ঋণের কারবার করেননি। তাঁর পাতা ঋণের ফাঁদে রানী বেগমদের মতো আরো অনেক দম্পতিই হয়তো পা দিয়েছেন। কিন্তু তা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, জনপ্রতিনিধি বা সমাজের অন্য সবার চোখ এড়িয়ে গেল কিভাবে?
নারায়ণগঞ্জের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরেই যদি এমন ঘটনা ঘটতে পারে, তাহলে সারা দেশের অবস্থা কী? দ্রুত এজাতীয় ঘটনা বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি লাকী বেগমের মতো অমানবিক সুদখোরদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা  করতে হবে।
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন