English

31 C
Dhaka
রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

পাওনা পরিশোধে ব্যবস্থা নিন: বন্ধ হওয়া জুট মিল

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটপণ্যের চাহিদা বাড়ছে। সরকারের কর্মপরিকল্পনায় পাটকে দ্বিতীয় বড় রপ্তানি আয়ের খাত হিসেবে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত জুট মিল (পাটকল)। এসব মিলের শ্রমিকরা এখন পাওনা আদায়ের জন্য প্রতিদিন মিছিল-সমাবেশ করছেন।

কথা ছিল দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাটকলগুলোর আধুনিকায়ন সম্পন্ন করা হবে এবং পাটকলগুলো আবার চালু করা হবে। কিন্তু এসব পাটকল চালু করার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ২০২০ সালের ২ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেছিলেন, শ্রমিকদের শতভাগ পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু গত দুই বছরেও শ্রমিকরা তাঁদের পাওনা বুঝে পাননি। স্থায়ী শ্রমিকরা পাওনার কিছু অংশ পেলেও অস্থায়ী শ্রমিকরা কোনো টাকাই পাননি। কবে পাবেন, তা-ও পরিষ্কার নয়।
সারা দেশে বন্ধ করে দেওয়া ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত জুট মিলের একই দশা। স্থায়ী শ্রমিকদের পাওনা টাকার অর্ধেক পরিশোধ করা হয়েছে নগদ টাকায়; বাকি অর্ধেক টাকা দেওয়া হয়েছে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে। কিন্তু অস্থায়ী শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা এখনো দেওয়া হয়নি। বিজেএমসির কর্মকর্তারাও বলছেন, অস্থায়ী শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে তাঁদের কাছে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি।

পাটকল বন্ধ করার সময় বলা হয়েছিল, বদলি শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রত্যেক শ্রমিকের মিল প্রদত্ত টোকেন ও ইউনিক আইডি নম্বর, এনআইডি এবং ব্যাংক হিসাব থাকতে হবে।

আবশ্যিকভাবে এনআইডি যাচাই করে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বদলি শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে হবে। বদলি শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধকালে মিল কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বকেয়া পাওনার বিষয়টি সরকারি বিধি-বিধানের আলোকে পুনরায় যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হয়ে পরিশোধ করবে।

এখন বিবেচনার বিষয় হচ্ছে অস্থায়ী বা বদলি শ্রমিকদের পাওনা কিভাবে পরিশোধ করা যাবে। প্রকাশিত খবরে ক্রিসেন্ট জুট মিলের উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে, এই জুট মিলে অস্থায়ী শ্রমিক ছিলেন তিন হাজারের মতো। অস্থায়ী শ্রমিকরা পাওনা টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কেউ দিনমজুরি, কেউ রিকশা চালিয়ে, কেউ নাইটগার্ডের কাজ করে টিকে থাকার চেষ্টা করছেন। অনেকে কাজ জোগাড় করতে না পারায় পরিবার-পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে আছেন।

এই শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে সব পাটকল আধুনিকায়ন করে আবারও রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে চালু করতে হবে।

Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন