English

31 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
- Advertisement -

দ্রুত অপসারণ করুন: ধলেশ্বরীর বুকে অবৈধ রাস্তা

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

অব্যাহত দখল, দূষণ ও ভরাটের কারণে সারা দেশে বহু নদীর অপমৃত্যু হচ্ছে। বর্তমান সরকার বদ্বীপ পরিকল্পনার আওতায় দেশের ৬৪ জেলায় ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনঃখননের উদ্যোগ নিয়েছে। অনেক নদী-খালের খননকাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু পরবর্তী রক্ষণাবেক্ষণের যথাযথ উদ্যোগ না থাকায় খনন করা নদীর জায়গাও আবার দখল হয়ে যাচ্ছে।

অনেক জায়গায় বাঁধ দিয়ে রাস্তা বানিয়ে প্রবাহ বন্ধ করা হচ্ছে। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, মানিকগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীর একটি অংশ পুনঃখননের কাজ শেষ হতে না হতেই বালু ব্যবসায়ীরা নদীর বুকে মাটি ভরাট করে রাস্তা বানিয়েছে। দিন-রাত এই রাস্তা দিয়ে বালুভর্তি ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করছে। ফলে নদীতে পানির প্রবাহ আবার বন্ধ হয়ে গেছে।
জানা যায়, ধলেশ্বরীর এই শাখা নদীর অবস্থা এতটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে বর্ষাকালে দুই-তিন মাস ছাড়া নদীতে পানি থাকত না। নদীর পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক করার উদ্দেশ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আওতায় ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৫ কিলোমিটার নদী খননের উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০১৯ সালে।
মাস ছয়েক আগে খননকাজ সম্পন্ন হয়। প্রায় তখনই স্থানীয় বালু ব্যবসায়ীরা নদীর বুকে মাটি ভরাট করে এই সড়কটি নির্মাণ করেন। স্থানীয়রা আশা করেছিল, খননের ফলে এ বছর বর্ষাকাল থেকে বছরের বেশির ভাগ সময় নদীতে পানি থাকবে এবং নৌযান চলাচল করতে পারবে। কিন্তু নদীর বুকে সড়ক নির্মাণের ফলে তাদের সেই আশায় চিড় ধরেছে। কারণ এই সড়ক অতিক্রম করে মূল নদীর পানি এই শাখা নদীটিতে ঢুকতে পারবে না।
প্রশাসনের উপযুক্ত নজরদারির অভাবে সারা দেশেই খাল-বিল দখলের মহোৎসব চলছে। আবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা প্রভাবশালীরা নদীর ওপর বাঁধ দিচ্ছেন, রাস্তা বানাচ্ছেন। শুধু মানিকগঞ্জের ধলেশ্বরী নয়, এমন ঘটনা সারা দেশেই ঘটছে।
কিছুদিন আগে প্রকাশিত এক খবরে দেখা যায়, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত আড়িয়ালখাঁ নদের দুই পারকে সংযুক্ত করে মাত্র পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে পাঁচটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। কোনো কোনো বাঁধের ওপর ইট বিছিয়ে রাস্তাও করা হয়েছে।
খুলনার পাঁচটি উপজেলায় নদীর জায়গা দখল করে ২৭টি ইটখোলাসহ বহু স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এ ধরনের নজির অসংখ্য। সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা প্রশাসনের নজরদারি নেই বললেই চলে। কোথাও কোথাও যোগসাজশের অভিযোগও আছে।

আমরা চাই ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত অবৈধ বাঁধ ও সড়ক দ্রুত অপসারণ করা হোক এবং এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন