English

39 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
- Advertisement -

সম্মিলিত প্রয়াস দরকার: ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে পারে

- Advertisements -

২০১৯ সালের মতো এ বছরও ডেঙ্গুর সংক্রমণ ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল এবং মারা গিয়েছিল। বর্ষার সময় বা জুন মাসকে ডেঙ্গুর মৌসুম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবার একই সময়ে এডিস মশা বেশি পাওয়া যাচ্ছে।

এখন বৃষ্টিপাত বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে গত বছরের তুলনায় এবার অন্তত ১০ গুণ বেশি প্রকোপ হতে পারে।
গত মাসে কীটতত্ত্ববিদদের সমন্বয়ে গঠিত ২১টি দল রাজধানীর দুই হাজার ৫২০টি বাড়ি পরিদর্শন করে। এর মধ্যে ১১৪টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া যায়। কীটতত্ত্ববিদদের সমন্বয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ পরিচালিত জরিপে দুই সিটি করপোরেশনের ডেঙ্গু ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ড এবং স্থান চিহ্নিত করা হয়। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৮, ৪০, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু এলাকায় ২০ শতাংশের বেশি মশার ঘনত্ব পাওয়া যায়।
উত্তর সিটি করপোরেশনের ২১, ১৫, ২৩ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ১০ শতাংশের বেশি এবং ৮, ১৪, ২০, ৩৫, ৪৬ ও ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে ১০ শতাংশ ঘনত্ব পাওয়া গেছে। অন্যদিকে ডিএনসিসির ৬ নম্বর ওয়ার্ড মিরপুরের পল্লবী ও আশপাশের এলাকা, ২০ নম্বর ওয়ার্ড মহাখালী এবং এর আশপাশের এলাকা, ৩২ নম্বর ওয়ার্ড লালমাটিয়া ও মোহাম্মদপুর এলাকায়  ১০ থেকে ১৯ শতাংশ মশার ঘনত্ব পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ডিএনসিসির ১০, ১৩, ১৬, ২৭, ৩০ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে ১০ শতাংশ ঘনত্ব পাওয়া গেছে। নিয়ন্ত্রণহীন পরিবেশের কারণে মশার জন্ম হয়। পরিবেশগত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মশার প্রজননস্থল কমানো এবং ধ্বংস করে মশাকে সহজভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। উদাহরণস্বরূপ জলাধার পরিষ্কার এবং বিভিন্ন পানির পাত্র অপসারণ ও পরিষ্কার রাখা।
করোনার মতো ডেঙ্গু অদৃশ্য শক্তি নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু মোকাবেলা করা খুব কঠিন নয়। ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অন্যান্য মশার চেয়ে এডিস মশার নিয়ন্ত্রণও সহজ। কারণ এডিস মশা পাত্রে জমা পানিতে বংশবিস্তার করে। জমা পানির পাত্র অপসারণ কঠিন কোনো কাজ নয়।

তাই এখন থেকেই মশা নিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। যেসব পাত্রে পানি জমে থাকে নাগরিক দায়িত্ব হিসেবে তা তিন দিন পর পর অপসারণ করতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব।

Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন