English

29 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ কাম্য: নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

- Advertisements -

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনসহ দেশের বেশ কয়েকটি পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে তাদের প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের এক মাস আগেই মাঠে নেমেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। গত রবিবার দুপুরের পর থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সঙ্গে একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে টহল দিয়েছেন বিজিবির সদস্যরা।

নির্বাচনী এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পাশাপাশি এক প্লাটুন বিজিবিও মোতায়েন করা হয়েছে। ওদিকে ঝিনাইদহ ও টেকনাফে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুবলীগের একটি মিছিল থেকে হামলা চালিয়ে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের আসবাব ও গ্লাস ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কক্সবাজারের টেকনাফে বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে এক ব্যক্তিকে পা কেটে বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। একটি শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা চালুর জন্য এসব নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রয়োজন ছিল। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনসহ এসব পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই সব এলাকায় নির্বাচনী তৎপরতা শুরু হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণার পর এসব এলাকায় নির্বাচনী তৎপরতা শুরু হয়েছে। যতই দিন গড়াবে, ভোটের হাওয়া ততই উষ্ণ হবে। সে উষ্ণতা পেয়ে পৌর নির্বাচনের আবহে উত্তাপ ছড়াবে সব পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায়। নির্বাচনী উত্তাপ-উত্তেজনায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটবে—এমন আশঙ্কা একেবারেই অস্বাভাবিক নয়।
বাংলাদেশে নির্বাচনকে ভোট উৎসব বলেই ধরা হয়। নির্বাচনের সময় এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ সবারই প্রত্যাশিত। প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরা নানা আয়োজনে ভোট প্রার্থনায় নামে। পথসভা, কর্মিসভার আয়োজন করা হয়। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে অনেক রাত পর্যন্ত পাড়া-মহল্লায় চলে নির্বাচনী প্রচার। এই উৎসবমুখর পরিবেশই আবার কখনো কখনো সংঘাত-সংঘর্ষে রূপ নেয়। ঘটে প্রাণহানির ঘটনা।

দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিপক্ষের নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন ও ভাঙচুর কি নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়াবে? নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা করার অভিযোগ কি প্রতিদিন উঠতে থাকবে? ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের প্রতিফলন কি ঘটবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে? নির্বাচনে জয়-পরাজয় আছে। সবাই জয়ী হওয়ার জন্যই নির্বাচনে অংশ নিয়ে থাকেন। কিন্তু জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতেই নির্ধারিত হয় জয়-পরাজয়। কাজেই জয়ের জন্য নির্বাচনের মাঠে অবতীর্ণ হলেও পরাজয় মেনে নেওয়ার মানসিকতা অবশ্যই সব দলের মধ্যে থাকতে হবে।

ঝিনাইদহ ও টেকনাফে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে আশঙ্কা করা যায়, সময় যত যাবে এই নির্বাচন ঘিরে সহিংসতার শঙ্কাও ততটা বাড়বে। পৌর নির্বাচন নির্দলীয় নির্বাচন হলেও এ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীরাই অংশ নেন। প্রত্যেকেই নিজ নিজ দলের ও প্রার্থীর শক্তি প্রমাণ করার ব্যাপারে দৃঢ়সংকল্প। এ অবস্থায় পৌর নির্বাচন সন্ত্রাস, সংঘর্ষ ও ঝামেলামুক্ত রাখার দিকেই নির্বাচন কমিশনকে দৃষ্টি দিতে হবে। নির্বাচনী সহিংসতামুক্ত, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল একটি নির্বাচন সবারই কাম্য। নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন