জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পাহাড় কাটা হলে আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবার কি চট্টগ্রামের পাহাড় কাটা বন্ধ হবে?
সারা দেশেই পাহাড় কাটার বহু সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে। তাদের পেছনে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি রয়েছেন। এর সঙ্গে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্যিক স্বার্থ জড়িয়ে আছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, এসব চক্র এতটাই শক্তিশালী যে বন বিভাগের লোকজন তাদের রীতিমতো ভয় পায়। তাদের নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনীও থাকে।
কেবল চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড় কাটা নিয়েই এর আগে বেশ কিছু গবেষণা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের ২০১১ সালের গবেষণায় দেখা যায়, বায়েজিদ বোস্তামী, খুলশী, পাহাড়তলী, মতিঝর্ণা, ষোলশহর ও ফয়’স লেক এলাকায় সর্বাধিক পাহাড় কাটা হয়েছে।
১৯৭৬ সাল থেকে পরবর্তী ৩২ বছরে ৮৮টি পাহাড় সম্পূর্ণ এবং ৯৫টি আংশিক কাটা হয়। ২০১৫ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় উঠে এসেছে, নগরীতে থাকা ২০০ পাহাড়ের মধ্যে ১০০টি পাহাড় কেটে আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে।
প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামীতে পাহাড় কেটে প্লট বানিয়ে বিক্রি করা হয়েছে।
সেসব প্লটে পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগও দেওয়া হয়েছে। পাহাড় কেটে রাস্তা বানানো হয়েছে। পাহাড় কাটা হয়েছে আকবর শাহ, খুলশী এলাকায়ও।
পাহাড় কাটার এই মহোৎসব ঠেকাতে আইনের প্রয়োগ খুব কমই হয়েছে। সে ক্ষেত্রে এই সাইনবোর্ড পাহাড় কাটা কতটা ঠেকাতে পারবে বলা মুশকিল!
পাহাড় কাটা ঠেকাতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা। সাইনবোর্ডের পাশাপাশি আমরা প্রশাসনের যথাথথ উদ্যোগ দেখব বলেও আশা করি।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/03qg