চালের দাম ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, আমনের ভরা মৌসুমে পাইকারি বাজারে চালের দাম বেড়েছে। চালের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, গত কয়েক সপ্তাহে মিল পর্যায়ে অস্বাভাবিক দাম বেড়ে গেছে। চালকল মালিকদের দাবি, এবার বাড়তি দামে ধান কেনার কারণে তাঁরা চালের দাম বাড়িয়েছেন।
ডিসেম্বরে ৫৫ হাজার ৯৩৯ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। চাহিদার তুলনায় তা নামমাত্র। বাণিজ্য উপদেষ্টার দাবি, দেশে চালের কোনো সংকট নেই। ব্যবসায়ীদের মজুদদারিতে দাম বাড়ছে। তাহলে কি অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট এখনো সক্রিয়?
মূল্যস্ফীতি সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।গত বুধবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও সেটি এখনো বাড়তি। প্রশ্ন হচ্ছে, বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখার জন্য সরকারের যেসব সংস্থা রয়েছে, তাদের কোনো ভূমিকা কি দেখা যাচ্ছে?
বাংলাদেশের বাজার ব্যবস্থাপনা মোটেই সংগঠিত নয়। এর সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হন। কোনো কোনো সময় বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেও পণ্যের দাম বাড়ানো হয়। শুধু চাল নয়, প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। নাকাল হচ্ছে দরিদ্র ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ।
অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট যেন বাজারকে অস্থির করতে না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। আমদানি ঠিক রেখে সাপ্লাই চেইন সচল রাখার মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং বাজারে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেবে—এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/tmfg