English

28 C
Dhaka
শনিবার, মে ১১, ২০২৪
- Advertisement -

চিকিৎসার সুযোগ বাড়াতে হবে: বাড়ছে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা

- Advertisements -
শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই মানসিক স্বাস্থ্যেরও নানা রকম সমস্যা বা রোগ হতে পারে। শারীরিক রোগ সারাতে মানুষ যত সহজে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়, মানসিক রোগের ক্ষেত্রে ততটা দেখা যায় না। ফলে চিকিৎসার অভাবে রোগ বৃদ্ধি পায় এবং একসময় চিকিৎসার আওতার বাইরে চলে যায়। রোগীর মৃত্যু ত্বরান্বিত হয়।
প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৮০ লাখ মানুষ মানসিক সমস্যাজনিত কারণে মারা যায়, যা প্রতিবছরের গড় মৃত্যুর ১৪.৩ শতাংশ। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ স্কলার্স অ্যান্ড ফেলোসের (বিএসিএসএএফ) উদ্যোগে এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বৈশ্বিক পরিসংখ্যান থেকে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বিশ্বজুড়ে ৯৭ কোটি মানুষ মানসিক অসুস্থতা বা মাদক ব্যবহারজনিত সমস্যায় ভুগছে। আমাদের দুর্ভাগ্য, বাংলাদেশে এসংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য তথ্যের অভাব রয়েছে।

কিন্তু এই সমস্যা মোটেও অবজ্ঞা বা অবহেলা করার বিষয় নয়।

বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। চিকিৎসকের কাছে যাওয়া তো দূরের কথা, মানুষ সাধারণত পরিবারের কোনো সদস্যের মানসিক সমস্যাকে স্বীকারই করতে চায় না। অনেকেই মানসিক সমস্যা আর পাগলের মধ্যে কোনো তফাত করতে পারে না।

আবার কন্যাশিশুদের মানসিক সমস্যার কথা গোপন করতে চায় এই কারণে যে জানাজানি হলে ভবিষ্যতে বিয়েশাদির সমস্যা হতে পারে।
মানসিক সমস্যা বহু কারণেই হতে পারে। এর মধ্যে শারীরবৃত্তীয় কারণও রয়েছে। অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির সমস্যার কারণেও মানসিক সমস্যা হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসায় আরোগ্যের হার প্রায় শতভাগ।
কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসকের কাছে যায় না। যত দেরিতে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হবে, আরোগ্যের হার ততটাই কমতে থাকে। আবার মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগও খুব সীমিত। দক্ষ পেশাজীবীর যেমন অভাব রয়েছে, তেমনি দেশব্যাপী এই চিকিৎসার সুযোগও অনেক কম। মানসিক রোগের চিকিৎসা দীর্ঘ সময় নিয়ে করাতে হয়।
গ্রামাঞ্চল থেকে বড় শহরে এসে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা করানো অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। তাই মাঝপথে অনেকেই চিকিৎসা ছেড়ে দেয়। এতে রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হয়। আবার এ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে প্রচুর ভুল ধারণা ও কুসংস্কার কাজ করে।

গ্রামাঞ্চলে অনেকেই মানসিক অসুস্থতাকে জিন-ভূতের আছর হিসেবে দেখে থাকে। মানসিক অসুস্থতায় তারা চিকিৎসকের বদলে ওঝা-কবিরাজের আশ্রয় নেয়। ওঝারা ভূত তাড়ানোর নামে রোগীর ওপর শারীরিক নির্যাতন করেন, যা রোগীর জন্য আরো ক্ষতির কারণ হয়।

গবেষণায় উঠে এসেছে, করোনা মহামারির পর সারা বিশ্বেই মানসিক সমস্যার প্রাদুর্ভাব অনেক বেড়েছে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই বাংলাদেশে, বিশেষ করে উপজেলা পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা দ্রুত বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন