English

26.7 C
Dhaka
শুক্রবার, জুলাই ৪, ২০২৫
- Advertisement -

জন-উদ্যোগের মহৎ উদাহরণ: কপোতাক্ষের বাঁধ মেরামত

- Advertisements -

গত বছরের ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাত উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকায় ফসল ও ঘরবাড়ির যে ক্ষত তৈরি করেছে, গত আট মাসেও তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলীয় বাঁধ ভেঙে লোনাপানি ভেতরে ঢুকলে ফসল ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়। ২০০৯ সালে প্রলয়ংকরী জলোচ্ছ্বাস আইলায়ও বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল।

উপকূলীয় মানুষের কাছে লোনাপানি বড় সমস্যা। বিশেষ করে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার উপকূলীয় বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় সেখানকার মানুষের জীবিকার পথও প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। পানীয় জলের তীব্র সংকট দেখা দেয়। এখানে পানীয় জলের উৎস পুকুরগুলোতেও লোনাপানি ঢুকে পড়ে। অনেকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।

কয়রা পাউবোর ১৩/১৪-১ ও ১৩/১৪-২ নম্বর পোল্ডারের (চারদিকে নদীবেষ্টিত দ্বীপ অঞ্চল) অন্তর্ভুক্ত। এর পূর্ব পাশে সুন্দরবনের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে শাকবাড়িয়া নদী, দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে কপোতাক্ষ নদ ও উত্তর পাশে রয়েছে কয়রা নদী।

গণমাধ্যমে খবর অনুযায়ী, আট মাস ধরে কয়রার কাশীরট খোলার মানুষ অনেক কষ্টে ছিলেন। এ অবস্থায় গত রোববার স্থানীয় মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামতের কাজে লেগে যান। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, শত শত মানুষ বাঁধে মাটি ফেলছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলামের ভাষ্যমতে, ঠিকাদারদের লোকজনের পাশাপাশি প্রায় দুই হাজার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধে মাটি ফেলেছেন। ফলে উপজেলার উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম লোনাপানিমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

উল্লেখ্য, উপকূলীয় বাঁধ নির্মাণের দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের। তঁাদের কাজের মান নিয়ে নানা অভিযোগ আছে। এ কারণে আম্পানের পর বাঁধ নির্মাণকাজ তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয় সেনাবাহিনীকে। কিন্তু গত আট মাসেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি এ এলাকার বাঁধ মেরামতের কাজ শেষ করতে পারেনি। স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামতের এ জন–উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার। এর আগে আরও কয়েকটি এলাকায় স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামতের কাজ শেষ হয়েছে।

উপকূলীয় এলাকায় বাঁধ নির্মাণ হলেও এলাকাবাসীর জীবিকার নিশ্চয়তা নেই। ঘূর্ণিঝড়ের পর যাঁরা এলাকা ছেড়েছেন, তাঁদের অনেকে আবার ফিরে আসছেন। এই দরিদ্র উপকূলীয় মানুষ যাতে নতুন করে চাষবাস কিংবা অন্য কোনো পেশা বেছে নিতে পারেন, সে জন্য সরকারের সহায়তা প্রয়োজন।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/a4zm
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন