রাজধানীতে গৃহস্থালি কাজে গ্যাসের সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। কিছু কিছু এলাকায় পাইপলাইনে গ্যাস প্রায় থাকে না বললেই চলে। প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, পবিত্র রমজান মাসেও গ্যাসের অভাবে অনেকে ঠিকমতো রান্না করতে পারছেন না। সকাল থেকে রাত ১০-১১টা পর্যন্ত গ্যাসের চাপ খুবই কম থাকে। বাধ্য হয়ে তখন বর্ধিত দামে গ্যাস সিলিন্ডার কিনে আনতে হচ্ছে। অনেকে ইলেকট্রিক চুলা ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি গ্যাস ঠিকমতো না পেলেও পুরো মাসের সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। ফলে মূল্যস্ফীতির এই সময়ে গ্যাসের চাপ কম এমন এলাকাগুলোর বাসিন্দারা কোনোভাবেই কুলিয়ে উঠতে পারছে না।
প্রকাশিত খবরে পেট্রোবাংলার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, রমজানে আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাসের সরবরাহ কিছুটা সীমিত করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্প-কারখানায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এর ফলে বেশ কিছু এলাকায় আবাসিকে কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
নানা কারণেই এমনটা করার প্রয়োজন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আবাসিক গ্রাহকদের অসুবিধার দিকটিও বিবেচনায় নিতে হবে। গ্যাসের মাসিক বিল পরিশোধ করার পরও সিলিন্ডার কিনতে হলে রান্নার খরচ দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে চলা মূল্যস্ফীতির কারণে যেখানে সংসার চালাতেই অনেকে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে গ্যাসের জন্য দ্বিগুণ অর্থ ব্যয় করা তাদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
গ্যাস সিলিন্ডার সুলভ ও সহজলভ্য করতে হবে। সিস্টেম লসের নামে গ্যাস চুরি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হবে। দুর্মূল্যের বাজারে রান্নাবান্না নিয়ে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নিম্ন ও স্থির আয়ের মানুষ যে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে, তা দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।