প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান—এই তিন দেশের প্রতারকদের একটি চক্র মানুষের সঙ্গে নানাভাবে প্রতারণা করছে। আর এ কাজে তারা ব্যবহার করছে ফেসবুকসহ নানা সামাজিক মাধ্যমকে। গত বুধবার গোয়েন্দা পুলিশ এই চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
জানা যায়, প্রতারকচক্রটি নারীদের নামে ফেসবুক আইডি খুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে।
এরপর এক পর্যায়ে চক্রের মেয়ে সদস্যরা ভিডিও কলে কথা বলা শুরু করে এবং বন্ধুত্বকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আলাপচারিতার সময় নগ্ন ভিডিও ধারণ করা হয় কিংবা ভিডিওকে বিশেষ উপায়ে নগ্ন রূপ দেওয়া হয়।
এরপর সেসব আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করে এবং মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করতে থাকে। গ্রেপ্তারকৃত দুজন জানায়, এভাবে যে অর্থ আদায় হতো তার ২৫ শতাংশ পেত বাংলাদেশের এজেন্ট, ২৫ শতাংশ পেত পাকিস্তানের এজেন্ট এবং বাকি ৫০ শতাংশ চলে যেত ভারতে। টাকা পরিশোধ করা হয় বিকাশ বা অন্য কোনো ডিজিটাল পদ্ধতিতে।
ডিবি জানায়, বাংলাদেশের উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ নানা পেশার পুরুষদের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে এই চক্রটি।
শুধু ফেসবুকে বন্ধুত্বের ফাঁদ পাতাই নয়, আরো অনেক ধরনের অপরাধ চলে সাইবারজগতে। সম্প্রতি ঋণের ফাঁদ পেতে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের খবর এসেছে গণমাধ্যমে। চাকরি প্রদানের নামে প্রতারণা হচ্ছে।
এমনকি কারো ছবি নিয়ে সেই ছবি বিকৃত করেও ব্ল্যাকমেইল করা হয়। জঙ্গিরা জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করা, রিক্রুট, যোগাযোগসহ আরো অনেক কাজে এই মাধ্যম ব্যবহার করে। তাই সাইবার-প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে এর নেতিবাচক ও অপরাধমূলক দিকগুলো নিয়ন্ত্রণে আরো বেশি জোর দিতে হবে।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/pdiu