’ তিনি আরো বলেন, ‘সাক্ষ্য-প্রমাণ এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত চিত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এটি ছিল একটি সমন্বিত নির্মূল পরিকল্পনা।’
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের অনুসন্ধানী দলের প্রতিবেদন এসব অভিযোগের গুরুত্বকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। জাতিসংঘের ১০৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সুস্পষ্ট প্রমাণ হাজির করে। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে এক হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই নিরাপত্তা বাহিনীর মারণাস্ত্রের গুলিতে নিহত হয়েছে।
১১ হাজার সাত শর বেশি মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক স্পষ্টভাবে বলেছেন, সাবেক সরকার বিক্ষোভ দমনে ‘পরিকল্পিত’ ও ‘সমন্বিত কৌশলের’ মাধ্যমে নৃশংসতা চালিয়েছিল।
এসব শুধু পরিসংখ্যান নয়, বরং অপরাধের ভয়াবহতা ও বিস্তৃতিকেও প্রকাশ করে এবং অভ্যুত্থানে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাপ্রবাহের বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-প্রমাণকেও হাজির করে।
অভিযোগগুলো আমলে নেওয়া জুলাই-আগস্টের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ক্ষমতাচ্যুত সরকারের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর যাঁরা এসব গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করা অপরিহার্য।
এই বিচার শুধু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়। জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, রোম সংবিধি এবং ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল আইন অনুসারে বিচারযোগ্য। এটি কেবল ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে না, বরং বাংলাদেশকে অতীতের স্বৈরশাসনের দুঃস্বপ্ন থেকে বের হয়ে গণতান্ত্রিক পথে উত্তরণের পথও দেখাবে।