English

36 C
Dhaka
শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
- Advertisement -

পর্যটন খাতে সম্ভাবনা: মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে

- Advertisements -

করোনা মহামারিতে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোর একটি পর্যটন খাত। বাংলাদেশেও বিকাশমান এই খাতটি প্রচণ্ড ঝুঁকিতে রয়েছে। খাতসংশ্লিষ্টদের দাবি, করোনাভাইরাস সংক্রমণের দেড় বছরেরও বেশি সময়ে এই খাতে মোট ২০ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক উদ্যোক্তা পুঁজি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন।

পর্যটনসংশ্লিষ্ট সব উপখাত মিলিয়ে ৪০ লাখের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান থাকলেও করোনার এ সময়ে বেকার হয়ে পড়েছেন বেশির ভাগ কর্মী। এই অবস্থায় গত ১৯ আগস্ট কিছু শর্ত সাপেক্ষে পর্যটনকেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র খোলার অনুমতি দেওয়া হয়।

Advertisements

আশার কথা, এরই মধ্যে পর্যটন ব্যবসার পালে কিছুটা হলেও হাওয়া লাগতে শুরু করেছে। বিদেশি পর্যটক না এলেও অভ্যন্তরীণ পর্যটকদের নিয়েই এই শিল্পটি ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করছে। করোনা পরিস্থিতির অবনতি না হলে উদ্যোক্তারা আশা করছেন, ধীরে ধীরে তাঁরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।

গত দেড় বছরে পর্যটনকেন্দ্র, হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, ট্রান্সপোর্ট, ট্যুর অপারেটরস, ট্রাভেল এজেন্সিসহ পর্যটনের ৪১টি খাত বন্ধ ছিল। সেগুলো খুলে দেওয়া হলেও এই খাতের সব উপখাত সমানভাবে চালু হতে পারেনি। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি। বিদেশি পর্যটক আসছে না। বিদেশি পর্যটক না এলে তিনতারা থেকে পাঁচতারা হোটেলগুলোর ব্যবসা জমে না।

দেশ থেকেও পর্যটন ভিসা নিয়ে বাইরে যাওয়া মানুষের সংখ্যা খুবই কম। ফলে বিভিন্ন দেশে ট্যুর পরিচালনাকারী অপারেটররা ব্যবসা পাচ্ছে না। তবু মন্দের ভালো, অভ্যন্তরীণ পর্যটন নিয়েই এই খাতটি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। ট্যুরিজম বোর্ড, বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন, স্থানীয় প্রশাসনসহ সবাই চেষ্টা করছে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে যেন সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হয়।

Advertisements

এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটনশিল্পকে চাঙ্গা করতে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড পর্যটন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে এরই মধ্যে একটি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা তৈরি করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলোর জন্য প্রধানমন্ত্রী যেসব প্রণোদনা ঘোষণা দিয়েছেন, তার মধ্যে পর্যটনশিল্পও অন্তর্ভুক্ত। অবশ্য পর্যটনসংশ্লিষ্টদের দাবি, প্রণোদনার সঠিক বণ্টন যেন নিশ্চিত করা হয়।

বাংলাদেশে পর্যটনশিল্প এখনো অনেক পিছিয়ে আছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইকো-ট্যুরিজম, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটসহ নানা দিক থেকে দেশের পর্যটনশিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি মহাপরিকল্পনা তৈরি করা প্রয়োজন।

নদীমাতৃক বাংলাদেশে নৌ-পর্যটনেরও অনেক সুযোগ রয়েছে বলে তাঁরা মনে করেন। আমরা আশা করি, পর্যটনশিল্পের বিকাশে সম্ভাব্য সব কিছুই করা হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন