ফলে এক রোগ সারাতে এসে সঙ্গে নিয়ে যায় আরো অনেক রোগ।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, হাসপাতালে এসে সবচেয়ে বিপদগ্রস্ত হন নারীরা। পুরুষের পক্ষে খোলা জায়গায় কিংবা রাস্তার পাশেও দাঁড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু নারীরা কী করবেন? তাঁদের প্রস্রাব চেপে রাখতে হয়। অনেকের পিরিয়ডকালীন প্রয়োজনীয়তা থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রস্রাব চেপে রাখায় মূত্রনালির সংক্রমণ, কিডনিতে পাথর সৃষ্টিসহ নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাভার থেকে সন্তানকে নিয়ে ঢাকা শিশু হাসপাতালে আসা এক নারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সেই সকালে এখানে এসেছি।
এখন দুপুর। মেয়েমানুষের বাথরুমের দরকার হয় না? একটা বাথরুমও নেই। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে এক ঘণ্টার বেশি অপেক্ষার পর সিরিয়াল পেয়েছি।
ছেলের চিকিৎসা করাতে এসে এখন নিজেই অসুস্থ হওয়ার জোগাড়।’ অথচ হাসপাতালটির জরুরি ও বহির্বিভাগে প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক রোগী ও তাদের স্বজন আসে।
হাসপাতালের পক্ষে জানানো হয়, মেরামত ও পুনর্নির্মাণের প্রয়োজনে এমন অবস্থা হয়েছে। প্রতিবেদক ঢাকার ১০টি হাসপাতাল ঘুরে কমবেশি একই রকম অবস্থা দেখতে পেয়েছেন।
হাসপাতালে নারী ও পুরুষের জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক ও ব্যবহার উপযোগী শৌচাগার থাকা অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে এবং স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে হবে। আমরা আশা করি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি ভিত্তিতে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/eq3l