বাকি ৭১ লাখ রোগীই রয়ে যায় চিকিৎসার বাইরে। তারা ডায়াবেটিস ছাড়াও দ্রুত অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়। তখন তাদের চিকিৎসার ব্যয় আরো বেড়ে যায়, যা বহন করা পরিবারের পক্ষে আরো অসম্ভব হয়ে পড়ে।
সরকারি হাসপাতালগুলোর সেবা নিয়েও রয়েছে অনেক অভিযোগ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিক বা উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রসমূহে চিকিৎসক ও সেবাদাতা লোকবলের অভাব নিয়ে বহু কথা হয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে রোগীরা এসে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যায়। রোগনির্ণয় যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে থাকা বা না থাকা, বিনামূল্যের ওষুধ না পাওয়া—এমনি আরো অনেক অভিযোগ আছে।
নিম্ন আয়ের মানুষ পারতপক্ষে অতি উচ্চ মূল্যের বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতালে যেতে চায় না। বড় শহরগুলোতে গিয়ে চিকিৎসা করানোর সংগতিও তাদের নেই। তার পরও বাধ্য হয়ে একান্ত নিকটজনের চিকিৎসায় শেষ চেষ্টা করতে হয়। তখনই তারা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে বা ঋণ নিতে বাধ্য হয়।
স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞদের মতে, সারা দেশে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা মানসম্মত করার উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্য বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি বরাদ্দের সর্বোত্তম ব্যবহারও নিশ্চিত করতে হবে।