English

28 C
Dhaka
শুক্রবার, মে ১০, ২০২৪
- Advertisement -

বাদ পড়া নদী অন্তর্ভুক্ত করুন: নদীর তালিকা প্রকাশ

- Advertisements -
নদীমাতৃক বাংলাদেশের পরিবেশ, প্রকৃতি, চাষাবাদ—সব কিছুই নদীর ওপর নির্ভরশীল। তাই বলা হয় নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে। অথচ এই বাংলাদেশেই নদীর ওপর আক্রমণ হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। অবহেলাজনিত কারণে নদীর মৃত্যু হচ্ছে বেশি।
এমনকি স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পরেও আমরা বাংলাদেশে নদীর প্রকৃত সংখ্যা কত সেটি নির্ধারণ করতে পারিনি। গত রবিবার জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন দেশের নদ-নদীর সংখ্যা ও তালিকাসংবলিত একটি বই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নদ-নদীর মোট সংখ্যা এক হাজার আটটি। মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ২২ হাজার কিলোমিটার।
নদী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই তালিকা দেশের মোট নদ-নদীর একটি অংশ মাত্র। অনেক নদী এই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। তাঁদের মতে, এই তালিকা দেশের নদী রক্ষা নয়, নদী দখলকারীদের দখল পাকাপোক্ত করতে সহায়তা করবে। তালিকাবহির্ভূত নদীগুলোর দখলদারি দ্রুততর হবে।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের প্রকাশিত তালিকা নিয়ে গণমাধ্যমে অনেকের ভিন্নমতও এসেছে। সহযোগী বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, দেশের শীর্ষস্থানীয় নদী বিশেষজ্ঞ প্রফেসর আইনুন নিশাতের মতে, দেশে নদ-নদীর সংখ্যা দুই হাজার থেকে তিন হাজারের মধ্যে।তিনি বলেন, ‘প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে নদী হয় না। নদীর কতগুলো বৈজ্ঞানিক তথ্য লাগবে। নদীর সংজ্ঞার ভিত্তি পৃথিবীর সব জায়গায় একই হতে হবে।
’ প্রকাশনা অনুষ্ঠানেই এই তালিকা নিয়ে আপত্তি জানান নদী গবেষক মাহবুব মোর্শেদ। তিনি বলেন, তাঁর কাছে দেড় হাজার নদীর তালিকা রয়েছে। সেই তালিকা কমিশনকেও দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, তাঁর সঙ্গে গেলে তিনি কমিশনকে দেড় হাজার নদী দেখিয়ে দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, নদী রক্ষা কমিশন জেলা প্রশাসক বা ডিসিদের থেকে নদীর যে তালিকা এনেছে, তা সম্পূর্ণ নয়, সঠিকও নয়। নদী, জলাভূমি ও পানিসম্পদবিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রিভারাইন পিপলের পরিচালক অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ বলেন, খসড়া তালিকায় বাদ পড়া রংপুরের ১০৫টি নদীর তালিকা তিনি কমিশনে জমা দিয়েছিলেন। কয়েকটি বাদে বাকিগুলো চূড়ান্ত তালিকায় আসেনি। তিনিও দাবি করেন, তিনি সরেজমিন এসব নদী দেখাতে পারবেন। এ রকম আপত্তি আরো অনেকেই করেছেন।
দেশের নদ-নদী নিয়ে উচ্চ আদালতের অনেক পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা রয়েছে। নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কোথাও কোনো নদীর জায়গা ভুলক্রমেও যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে রেকর্ড বা নামজারি হয়ে থাকে, তাহলে তা বাতিল করতে হবে। নদীর সীমানা নির্ধারণের ভিত্তি উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৪০ সালের ক্যাডেস্টাল সার্ভে বা সিএস জরিপকে। কিন্তু বর্তমান তালিকা নির্ধারণে কি তা করা হয়েছে? যেহেতু নদীর অস্তিত্বের সঙ্গে দেশের অস্তিত্ব নির্ভর করে, তাই নদী রক্ষায় আমাদের আরো উদ্যোগী হতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে প্রয়োজনে এই তালিকা সংশোধন করতে হবে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন