উত্তরাঞ্চলে তীব্র শীতে জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অনেক স্থানেই দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না। গরিব মানুষ কাজকর্ম করতে পারছে না। পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে।
তাই কুয়াশাকালীন যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ও দুর্ঘটনা রোধেও উপযুক্ত কর্মসূচি থাকা প্রয়োজন।প্রতিবছর শীতের ধকল সামলাতে গিয়ে মানুষ নানা দুর্ঘটনার শিকার হয়। আগুন পোহাতে গিয়ে পুড়ে মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
নিউমোনিয়া ও কোল্ড ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এত বেড়ে যায় যে হাসপাতালে স্থান সংকুলান হয় না।
মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দিতে হয়। এতেও রোগীদের অবস্থা আরো খারাপ হয়। শীতজনিত রোগব্যাধি থেকে রক্ষায় হাসপাতালগুলোতে অতিরিক্ত প্রস্তুতি থাকা প্রয়োজন। দরিদ্র রোগীদের জন্য ওষুধপত্রসহ আর্থিক সহায়তা থাকাও জরুরি। দরিদ্রদের মধ্যে গরম কাপড় ও কম্বল বিতরণের কর্মসূচি জোরদার করতে হবে।
জরুরি সহায়তার পাশাপাশি দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনাও নিতে হবে। অতিদরিদ্র মানুষের জন্য স্থায়ী ও মানসম্মত আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এসব কাজে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।
প্রকৃতির নিয়মে শীতকালে শৈত্যপ্রবাহ হবে, গ্রীষ্মে দাবদাহ থাকবে—এসব আটকানোর উপায় নেই। কিন্তু পরিকল্পিত উপায়ে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কমিয়ে আনা যায়।
বিজ্ঞানীদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়া ক্রমেই চরম ভাবাপন্ন হচ্ছে। হঠাৎ করে তীব্র শীত পড়ার কিংবা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেসব থেকে জনমানুষকে রক্ষায় উপযুক্ত পরিকল্পনা রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।