ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুর্মিটোলা হাই স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহজাহান এবং অভিভাবক প্রতিনিধি তাসলিমা আক্তার ইতিকে লক্ষ্য করে একটি সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্রের অপতৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
একটি বড় রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থাকা এই চক্রটি সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ছড়িয়ে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা রীতিমতো নীতি নৈতিকতা ও আইন পরিপন্থী বলে অভিযোগ উঠেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই চক্রের এক নেতা স্কুল কমিটিতে নিজের বা তার অধীনস্থ কাউকে অন্তর্ভুক্ত করতে না পেরে ক্ষোভ থেকে এমন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
গত কিছুদিন আগে স্কুল থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরির ঘটনা ঘটেছিল, যার সাথে এই চক্রটি জড়িত থাকতে পারে বলে সচেতন মহল মনে করছে।
অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহজাহান ও অভিভাবক প্রতিনিধি তাসলিমা আক্তার ইতির হাজার হাজার অভিভাবকের মাঝে একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি রয়েছে।
এ প্রতিবেদক বিভিন্ন অভিভাবকের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছেন যে, ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর এই চাঁদাবাজ চক্রটি প্রতিষ্ঠানের অনেকের বিরুদ্ধে নানাভাবে ‘ট্যাগ’ লাগিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ‘স্বৈরাচারের দোসর’ শব্দটিও নির্বিচারে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন।
খিলক্ষেতের ঐতিহ্যবাহী কুর্মিটোলা হাই স্কুল এন্ড কলেজের গৌরবোজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ অতীত রয়েছে। এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের ‘খুচরা নেতা’ পরিচয়ে নানা ধরনের অপপ্রচার ও প্রোপাগান্ডা চালানো খুব নিন্দনীয় ও অত্যন্ত দুঃখজনক।
স্কুল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ও নথি চুরির ঘটনায় স্থানীয় খিলক্ষেত থানায় একটি জোরালো অভিযোগ দায়ের করেছে, যা বর্তমানে তদন্তাধীন।
দেশের বর্তমান বাস্তবতায় নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় যথেষ্ট মেধা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে, যার মধ্যে শিক্ষা খাত অন্যতম। তবে কুর্মিটোলায় কতিপয় চাঁদাবাজের এই নাক গলানোর ঘটনা শিক্ষাক্ষেত্রে পুরনো ‘পতিত স্বৈরাচারের’ পুনরাবৃত্তির ছায়া ফেলছে বলে অনেকে মনে করছেন।
সমগ্র এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, কুর্মিটোলা হাই স্কুল এন্ড কলেজ তার কাঙ্খিত গন্তব্যে এগিয়ে যাক এবং প্রতিষ্ঠানটি তোলাবাজ ও চাঁদাবাজমুক্ত থাকুক।