ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি, জিএস, এজিএস পদসহ অধিকাংশ পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। তবে এই ভোটের শীর্ষ পদের (ভিপি) জন্য লড়েছিলেন ৪৫ জন। তাদের মধ্যে ১০ ভোটের কম পেয়েছেন ২২ জন প্রার্থী। অনেক প্রার্থী ১ ভোট, ২ ভোট, ৩ ভোট করেও পেয়েছেন।
ভিপি প্রার্থীদের মধ্যে ১টি করে ভোট পেয়েছেন মো. সুজন হোসেন, রাকিবুল হাসান ও রাসেল হক। মাত্র ২টি করে ভোট পেয়েছেন মো. নাসিম উদ্দিন, মো. সোহানুর রহমান ও মো. হাবিবুল্লাহ।
৩টি করে ভোট পেয়েছেন আরো তিনজন প্রার্থী। তারা হলেন মো. মুদাব্বীর রহমান, মো. হেলালুর রহমান ও শাহ জামাল সায়েম। ৪ ভোট পাওয়া একমাত্র প্রার্থী মো. ফয়সাল আহমেদ।
ভিপি প্রার্থী আসিফ আনোয়ার অন্তিক ও মো. আতাউর রহমান শিপন পেয়েছেন ৫টি করে ভোট। এ ছাড়া ৬ ভোটের মালিক দ্বীন মোহাম্মদ সোহাগ, মো. আজগর ব্যাপারী, মো. শাফি রহমান, মো. উজ্জ্বল হোসেন ও মোসা. জান্নাতী বুলবুল।
সাতটি করে ভোট পেয়েছেন মো. আবুল হোসাইন, মো. রাসেল মাহমুদ ও যায়েদ বিন ইকবাল।দুটি প্রার্থী পেয়েছেন আটটি করে ভোট। তারা হলেন জালাল আহমদ ও রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। আর ৯ ভোট পেয়েছেন এজনই, তিনি হলেন মাহদী হাসান।
ডাকসু নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ফল অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন সাদিক কায়েম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট।ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক জিএস পদে নির্বাচিত হয়েছে এস এম ফরহাদ। তিনি শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী ছিলেন। তবে এই পদেও ১০ ভোটের নিচে পেয়েছেন দুজন প্রার্থী। তারা হলেন নিয়াজ মখদুম ও সাইয়াদুল বাশার। এদের মধ্যে নিয়াজ ৬ এবং বাশার ৯ ভোট পেয়েছেন।
তবে সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে কোনো প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১০-এর নিচে নেই। এই পদে সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছেন মো. শাহরিয়ার নাফিজ। যার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৬৭। এজিএস পদেও জয় লাভ করেছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থী মুহা. মহিউদ্দিন খান।