English

26 C
Dhaka
শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
- Advertisement -

দ্রুত হল না খুললে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন জাবি শিক্ষার্থীরা

- Advertisements -

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে। এতোদিন দীর্ঘ সেশনজট নিরসনে, আটকে থাকা চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার ঘটনায় দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনে নামনে শিক্ষার্থীরা। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ১৭ মে থেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল এবং ২৪ মে থেকে ক্লাস শুরুর ঘোষণা প্রদান করেন।

শিক্ষামন্ত্রীর এমন ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা জানিয়েছেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেওয়া দাবির একটি প্রধান কারণ হলো স্থানীয় গ্রামবাসীর সাথে সংঘর্ষ এবং নিরাপত্তাহীনতা। প্রায় তিন মাস পরে হল খুললে এই বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী তাহলে কোথায় থাকবেন?

Advertisements

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শিক্ষামন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তকে পূর্ণবিবেচনা কারা দাবি জানিয়েছেন এবং নিজেদের সকল দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছেন।’

আন্দোলনরত স্নাতকের শিক্ষার্থী সজীব হোসেন বলেন, ‘যেহেতু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের একটি সংঘর্ষ হয়েছে তাই আমারা নিরাপত্তাহীনতারক কারণে হলে থাকতে চাইছি। এখানে থাকাটা আমাদের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। আর শিক্ষামন্ত্রী যা বলেছেন সেটা সারা বাংলাদেশের সার্বিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে বলেছেন। কিন্তু বর্তমানের জাহাঙ্গীরনগরের পরিস্থিতি ভিন্ন। এটাকে আমলে নিতে হবে। আমাদের হল ছাড়া গতি নেই এবং এখনই খুলে দেওয়া প্রয়োজন।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে হল ত্যাগের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। দাবি গুলো হলো : হল খোলা রাখতে হবে ও শিক্ষার্থীরা হলেই থাকবেন তাদের হল থেকে বের করার চেষ্টা করা যাবে না; আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গেরুয়ার সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে হবে ও এর ইন্ধনদাতাদের খুঁজে বের করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে; এই হামলার ঘটনার সাথে ক্যাম্পাসের কতিপয় ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মচারী ও কর্মকর্তা যুক্ত রয়েছে কিনা তদন্ত কমিটি গঠন করে সত্যতা নিশ্চিত করতে হবে; অজ্ঞাত মামলা তুলে নিয়ে চিহ্নিত ব্যক্তিদের নামে মামলা করতে হবে।

Advertisements

এর আগে দুপুর ১২টায় একই স্থান থেকে ৫ দাবি আদায়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিল নারী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন হল সংলগ্ন সড়ক অতিক্রম করে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নারী শিক্ষার্থীরা পুনরায় তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই হলে আন্দোলনরত প্রায় ৩০ জন নারী শিক্ষার্থী অবস্থান করছিলেন। বিকেলেব ঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী হল ত্যাগের অনুরোধ করেন। তবে শিক্ষার্থীরা অনুরোধ অমান্য করে সেখানেই অবস্থান করছেন।

এদিকে সোমবার দিবাগত রাতে (২২ ফেব্রুয়ারি রাত ১ টায়) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সকাল ১০টা মধ্যে সকল হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নিদের্শ দিলেও সকালে কোনো শিক্ষার্থীই সেই নির্দেশনা মানেননি। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টরিয়াল বডি ও নিজ নিজ হল প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে দিনভর হল ত্যাগের অনুরোধ জানান। এতেও শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ না করে হলেই অবস্থান করছিলেন।

এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সামিয়া হাসান বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা হল থেকে বের হব না। আমরা যে আল্টিমেটাম দিয়েছি, সেটাই এখনো চলমান আছে। স্থানীয় চিহ্নিত ব্যক্তিরা হামলা করলেও প্রশাসন কেন অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেহেতু আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ সেকারণে আমরা আর হল ত্যাগ করছি না।’

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন