English

30.9 C
Dhaka
রবিবার, আগস্ট ১০, ২০২৫
- Advertisement -

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার মেসেজ বেশি পাচ্ছি: শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি

- Advertisements -

করোনাভাইরাস সংক্রামণের হার ৫ শতাংশের নীচে নামলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। অন্যথায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া ঠিক হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি।

আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে জনতার প্রত্যাশা ও নাগরিক সমাজের আয়োজনে প্রয়াত সাবেক আইনমন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুর স্মরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। আইবিএম এর নেতৃবৃন্দ ও কভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটিসহ অন্যান্যরা সংক্রামণের উল্লেখিত এই হারের বিষয়ে নানা সুপারিশ করেছেন।

শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় নানা আন্দোলনের কথা বলা হচ্ছে। দেশে যে বৃহত্তর ছাত্রসমাজ ও অভিভাবক সমাজ আমাদের আছে তাদের এই আন্দোলন প্রতিফলিত করে না। কারণ, আমার কাছে যে পরিমাণ মেসেজ আছে তাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথাই বেশি এসেছে। জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়কে কোনো আন্দোলনের মধ্যেই অবহেলা করা উচিত নয়। সুতরাং পরবর্তীতে এসব আন্দোলনকে গুরুত্ব না দিয়ে পরিস্থিতির বিবেচনা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে।

তিনি বলেন, আমরা যে তারিখই নির্দিষ্ট করে রাখি না কেন, সেই সময়ে যদি অবস্থা অনুকূলে না আসে আমরা নিশ্চয়ই মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেব না। শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবক সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।

‘দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু শিক্ষা কার্যক্রমতো থেমে নেই-এ কথা উল্লেখ করে দীপু মনি আরো বলেন, অনলাইনে পড়াশোনা চলছে, এবং প্রায় প্রতিদিনই এই মাধ্যমে পড়াশোনার মান ও পরিসর বাড়ছে।

তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও শিক্ষা নিয়ে নানা সীমাবদ্ধতা আছে। কারিগরিভাবে বা প্রযুক্তিগতভাবে যেসব উন্নত দেশ রয়েছে তাদেরও সীমাবদ্ধতা আছে। তারাও সব শিক্ষার্থীর কাছে শতভাগ পৌঁছাতে পারছেন না। যেখানে শ্রেণিকক্ষগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা খুবই কম এবং যেখানে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ রক্ষা করা হয়েছে, সেখানেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে রাখতে পারেনি। উন্নত বিশ্বের অনেক দেশেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে আবার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। তেমনি আমাদের দেশে যেখানে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি, সেখানে নানানভাবে চেষ্টা করছি কীভাবে পরিকল্পনা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সব ধরনের প্রস্তুতি আছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা যে তারিখই নির্দিষ্ট করে রাখি না কেন, যদি অবস্থা অনুকূলে না আসে তাহলে আমরা মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেবো না।

নাগরিক সমাজের সভাপতি ব্যারিস্টার সোহরাব হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও জনতার প্রত্যাশার সভাপতি এম এ করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/0b4z
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন