অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) কর্তৃপক্ষ। তবে শিক্ষার্থীরা হল না ত্যাগ করার সিদ্ধানতে নেওয়ার পাশাপাশি কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানান ঢামেক শিক্ষার্থীরা।
তৌহিদুল আবেদীন তানভীর নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা হল ত্যাগ করছি না। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে একতরফাভাবে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে আমাদের হল থেকে বের করে দিতে চাওয়া সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবির পক্ষে অবস্থান নিয়েছি, এটি অন্যায় নয়।’
তিনি বলেন, ‘পরিত্যক্ত ভবনে জীবনের ঝুঁকি থাকলেও সেটার বিকল্প ব্যবস্থা না করে উল্টো আন্দোলন দমন করতে প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা এটা মেনে নিচ্ছি না। শান্তিপূর্ণভাবে হলে অবস্থান চালিয়ে যাব এবং দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।’
এর আগে আজ সকাল থেকে পাঁচ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। বিকেলে কলেজ প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তিতে কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে। আগামীকাল রবিবার দুপুর ১২টার মধ্যে সব শিক্ষার্থীদেরকে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ।
ঢামেক কলেজ শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো
১. নতুন ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস নির্মাণের জন্য দ্রুত বাজেট পাস।
২. আবাসন ব্যবস্থা নির্মাণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
৩. নতুন একাডেমিক ভবনের জন্য আলাদা বাজেট পাস করা।
৪. আবাসন ও একাডেমিক ভবনের বাজেট পৃথকভাবে অনুমোদন ও দ্রুত দৃশ্যমান বাস্তবায়ন।
৫. সব প্রকল্প ও কার্যক্রমের অগ্রগতি শিক্ষার্থীদের সামনে স্বচ্ছভাবে উপস্থাপনের জন্য শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নিয়োগ।
এর আগে শিক্ষার্থীদের পক্ষে এইকটি স্মারকলিপিটি ঢামেক কলেজ প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দেন শিক্ষার্থীরা।