English

25 C
Dhaka
সোমবার, নভেম্বর ১০, ২০২৫
- Advertisement -

অভাবে গাছের পাতা খেয়েছি: সুচন্দা

- Advertisements -

ঢাকা-১৭ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০২৬) প্রার্থী হওয়ার কথা জানালেন দেশের প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা, চলচ্চিত্রকার ও সাহিত্যিক শহীদ জহির রায়হান ও অভিনেত্রী সুচন্দার ছেলে তপু রায়হান। রবিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দেন তপু রায়হান। এ সময় নিজের নির্বাচনী ইশতেহারকে ‘ঐকমত্যের ইশতেহার’ অভিহিত করে তপু রায়হান বলেন, ‘কোনো প্রথাগত রাজনীতি করতে আসিনি বরং সহযোগিতার রাজনীতি চালু করতে চাই।’

ছেলের জন্য দোয়া চেয়ে মা সুচন্দা বলেন, ‘জয়-পরাজয় থাকবেই।

আমার ছেলে যেন মানুষের জন্য, দেশের জন্য, সবার জন্য কাজ করে, সেটাই আমি চাইব। পরিবারের সবাই খুব খুশি হয়েছি। হয়তো আজ ওর বাবা বেঁচে থাকলে উনিও খুব খুশি হতেন। আমার ছেলে বলে বলছি না, মানুষের প্রতি তপুর ভীষণ ভালোবাসা।

প্রয়াত লেখক ও চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান নিখোঁজের পর অভাবে গাছের পাতা খেয়েও দিন কাটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী ও বর্ষীয়ান অভিনেত্রী কোহিনূর আক্তার সুচন্দা।

তিনি বলেন, ‘এমনও দিন গেছে, সন্তানদের নিয়ে গাছের পাতা খেয়েছি। কারণ, তখন প্রায় সময়ই খাবার জুটত না। তার পরও হাল ছাড়িনি।

সন্তানদের মানুষ করেছি। আমার বিশ্বাস ছিল, তারা তাদের বাবার মতোই মানবিক ও দেশপ্রেমিক হবে। রাজনীতি না করলেও রাজনৈতিক আদর্শ লালন করে মানুষের জন্য কাজ করবে। আমার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। তারা তাদের বাবার মতোই হয়েছে।

সুচন্দা বলেন, ‘দেশ স্বাধীন করতে যখন মাঠে নেমেছিলাম, তখন পায়ে জুতা ছিল কি না, তা খেয়াল করিনি। আমাদের লক্ষ্য ছিল, একটি স্বাধীন ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ব। তখন সংসদ কী, তা বুঝতাম না।’

তিনি আরো বলেন, ‘জহির রায়হান রাজনীতি করতেন না, তবে রাজনীতি লালন করতেন সব সময়। তার লেখনী ও চলচ্চিত্রে সব সময় দেশ ও মানুষের কথা থাকত। তিনি সব সময় নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের পক্ষে কাজ করতেন।’

সুচন্দা বলেন, ‘আমাদের ছোট ছেলে তপু রায়হান বাবাকে দেখেনি। কিন্তু তার মধ্যে আমার স্বামী জহির রায়হানের প্রতিচ্ছবি দেখা যায়। সে সুযোগ পেলেই মানুষের কল্যাণে ছুটে যায়। তাই ঢাকা-১৭ আসনে এবার তার নির্বাচন করার সিদ্ধান্তে আমি খুশি হয়েছি। হার-জিত থাকবেই। আমার বিশ্বাস, সে মানুষের সমর্থন পাবে।’

নির্বাচিত হয়ে সংসদে যেতে পারলে সহযোগিতামূলক রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিনির্মাণে যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন জানিয়ে তপু রায়হান বলেন, ‘এই প্রতিশ্রুতি প্রত্যেক সম্মানিত প্রার্থীকে দেব। আমি জয়ী হই কিংবা হেরে যাই, নির্বাচনের পর ঢাকা-১৭ আসনে যিনিই এমপি হন, আমি এলাকার উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধানে তার সঙ্গে একত্রে কাজ করব। নির্বাচনে জয়ই আমার একমাত্র লক্ষ্য নয়, বরং মানুষের সঙ্গে সংযোগ, তাদের সমস্যা বোঝা এবং সবার অংশগ্রহণে এলাকার উন্নয়নে এমন একটি মডেল নির্মাণ করা, যা সারা দেশের সমাজ কাঠামোর সংস্কার ও উন্নয়নে অনুসরণ করা যেতে পারে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকা-১৭ আসনের গুলশান, বনানী, ক্যান্টনমেন্ট, শাহজাদপুর, ভাসানটেক ও মহাখালী এলাকার সমস্যাগুলো আমি জানি। কোথায়, কোন খাতে, কোন ধরনের উন্নয়ন এবং সংস্কার প্রয়োজন সে সম্পর্কেও আমার পরিষ্কার ধারণা আছে। কিছু সামাজিক উদ্যোগ নিয়ে আমি অনেক দিন থেকেই কাজ করে এসেছি। আমি দেখেছি, সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলো মোটামুটি একই রকম। বিশেষ করে নিম্ন-আয়ের মানুষদের সমস্যা সঠিকভাবে চিহ্নিত করা ও তার সমাধানের পথগুলো ঠিক করতে পারলে তা সারা দেশের জন্যই হয়তো একটা কার্যকর মডেল হিসেবে কাজ করতে পারে।’
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/oe90
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন