নাসিম রুমি: নব্বই দশকের প্রথম ঝড় বলা যায় চিত্রনায়িকা শাবনাজকে। শাবানা, ববিতা, রোজিনা, সুনেত্রা, দিতি, সুচরিতা, চম্পাদের মতো নামিদামি তারকাদের ভিড়ে তারুণ্যের এক ভিন্ন ধারা এনে দিয়েছিলেন গুণী এই অভিনেত্রী। আজ ২৯ অক্টোবর এই অভিনেত্রীর জন্মদিন।
চিত্রনায়িকা শাবনাজ দর্শকদের কাছে ‘শাবনাজ’ নামে পরিচিত হলেও তার পারিবারিক নাম সাবরিনা তানিয়া। তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়।
তার বাবা নাট্যশিল্পী স ম হুমায়ূন। তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত ছিলেন গুণী পরিচালক আজিজুর রহমানের। তার মাধ্যমেই পরিচালক এহতেশামের মাধ্যমে শাবনাজ রূপালি পর্দায় পা বাড়ান।
সিনেমা জগতে পা রাখেন ‘চাঁদনী’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। পরিচালক এহতেশামের হাত ধরে তার সঙ্গে বড় পর্দায় একই সঙ্গে অভিষিক্ত হন ঢাকাই সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক নাঈম। নব্বই দশকে এ জুটি দর্শকদের রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পেরেছিল।
এ জুটি অভিনীত উল্লেখযোগ্য কিছু চলচ্চিত্রগুলো হলো ‘জিদ’, ‘লাভ’, ‘চোখে চোখে’, ‘অনুতপ্ত’, ‘বিষের বাঁশি’,‘সোনিয়া’, ‘টাকার অহংকার’, ‘সাক্ষাৎ’ ও ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ’ ইত্যাদি।
শাবনাজ নাঈমের জুটি ছবি যে শুধু ব্যবসা সফল হতো না কিন্তু নয়, তাদের চলচ্চিত্রের বেশিরভাগ গানই পেয়েছে দর্শকপ্রিয়তা। তাদের অভিনীত ‘কাল কেন আসনি’ গানটি এখনও দর্শকদের মাঝ থেকে জনপ্রিয়তা হারায়নি এতটুকু।
ঢাকাই ছবিতে এ জুটির জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ হলো সিনেমাজগতে একই মুখ দেখতে দেখতে দর্শকরা সেসময় একগুয়েমি অনুভব করতে শুরু করে। যা থেকে দর্শকদের মুক্তি দেন শাবনাজ নাঈম জুটি।
রূপালি পর্দায় এ জুটি যখন জনপ্রিয়তার শিখরে ঠিক তখনই ১৯৯৪ সালে ব্যক্তিগত জীবনেও চিত্রনায়ক নাইমের সঙ্গেই ভালোবেসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। রূপালি পর্দায় ঝড় তোলা সফল সে জুটি সুখী দম্পতির জলন্ত উদাহরণ। তাদের সংসারে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
২০০১ সালে আজিজুর রহমান পরিচালিত ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ’ ছবিতে এই তারকা দম্পতিকে অভিনয় করতে দেখার পর আর রূপালি পর্দায় তাদের দেখা যায়নি।
এরপর দীর্ঘ ৬ বছর পর ২০০৭ সালে ওই একই পরিচালকের পরিচালনায় ‘ডাক্তার বাড়ী’ চলচ্চিত্রে ধরা দিয়েছিলেন তিনি। সবশেষ আফজাল হোসেনের বিপরীতে একটি প্যাকেজ নাটকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল এই গুণী শিল্পীকে।