ঢাকাই সিনেমার অন্যতম প্রভাবশালী অভিনেতা চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি এশিয়ার প্রথম অভিনেতা যিনি অভিনয় জগতের সুনামকে সামাজিক কর্মকান্ডে প্রয়োগ করে বিশ্ব দরবারে নাম লিখিয়েছেন। তার হাতে গড়া নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন আজ নাগরিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দাবির একটি। ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে গড়ে তোলেন এই আন্দোলন। অর্জন করেন একুশে পুরস্কার।
সেই কাঞ্চন আজ ব্রিটেনের হাসপাতালে যুগসন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। সম্প্রতি তার স্বাস্থ্যের কথা সামনে আনেন তার ছেলে জয়। এরপর নানান কথা প্রচার হতে থাকে। তবে আশার কথা হচ্ছে ডাক্তার আশার কথাও জানিয়েছেন।
এদিকে ইলিয়াস কাঞ্চনের এমন খবর পৌঁছে গেছে উপমহাদেশের কিংবদন্তী অভিনেত্রী শবনমের কাছেও। তিনি বিচলিত হয়ে বলেন, ও (কাঞ্চন) খুব ভদ্রছেলে। যখনই দেখা হয়েছে ভাবী ভাবী বলে আপন করে নিতো। ও খুব ভালো একজন সংগঠক। দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবে। সমাজের প্রতি একজন সেলিব্রেটির যে দায়বোধ থাকা উচিৎ তার জলন্ত উদাহরণ কাঞ্চন। স্ত্রীর বিয়োগে ওর যে ত্যাগ, যে সংগ্রাম তা অনবদ্য। আমি ওর মঙ্গল কামনা করি। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা ও সুস্থ্য হয়ে ফিরে আসুক।
কাঞ্চনের সঙ্গে সর্বশেষ ২০২২ সালে ওর অফিসে দেখা হয় জানিয়ে শবনম বলেন, অনেক দিন পর ওর সঙ্গে দেখা। অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও অনেকক্ষণ আমাকে সময় দিয়েছে। অনেক গল্প হলো। আগের মতোই মার্জিত ব্যবহার আমাকে মুগ্ধ করেছে।
এদিকে, জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চনের মৃত্যুর গুজব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে তার ছেলে মিরাজুল মইন জয় এক বার্তায় দেশবাসীকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বাবা বর্তমানে অসুস্থ এবং চিকিৎসাধীন আছেন। তার চিকিৎসা চলছে নিয়মিত। দয়া করে কেউ কোনো গুজবে কান দেবেন না। আমি দেশবাসীসহ সবার কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা বাবার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।’
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ইলিয়াস কাঞ্চন লন্ডনের হার্লি স্ট্রিট ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন। গত আগস্টে লন্ডনের উইলিংটন হাসপাতালে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। সেখানে টিউমারের কিছু অংশ অপসারণ করা হয়, তবে ঝুঁকির কারণে পুরোটা অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। এখন তিনি নিচ্ছেন রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপি ‘টার্গেট থেরাপি’।।
পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, সপ্তাহে পাঁচ দিন করে ছয় সপ্তাহ এই থেরাপি চলবে। এরপর চার সপ্তাহ তাকে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/eepn