ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকা কালজয়ী চলচ্চিত্র ‘ডন’-এর রূপকার কিংবদন্তী পরিচালক চন্দ্র বারোট আর নেই। রবিবার মুম্বাইয়ের বান্দ্রার একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই খ্যাতিমান নির্মাতা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
বারোটকে প্রথমে জসলোক হাসপাতালে এবং পরে গুরু নানক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সাত বছর ধরে পালমোনারি ফাইব্রোসিস নামের জটিল রোগে ভুগছিলেন পরিচালক চন্দ্র বারোট।
তার স্ত্রী দীপা বারোট বলেন, তিনি পালমোনারি ফাইব্রোসিসের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। গত ৭ বছর ধরে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
চন্দ্র বারোটের প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ‘ডন’ ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় কিস্তির পরিচালক ফারহান আখতার। ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ডনের পরিচালক আর নেই জেনে দুঃখিত। চন্দ্র বারোটজির আত্মার শান্তি কামনা করি। পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা।
চন্দ্র বারোট ১৯৭৮ সালের সুপারহিট ছবি ‘ডন’-এর জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। এই সিনেমা বলিউডের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত এবং এর রিমেকও তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে শাহরুখ খান অভিনীত ‘ডন’-এর দ্বিতীয় সংস্করণ যা ২০২৩ সালে বড় আলোচনার বিষয় ছিল। তার পেছনের মূল অনুপ্রেরণা ছিলেন চন্দ্র বারোট।
কর্মজীবনের শুরুতে তিনি অভিনেতা-পরিচালক মনোজ কুমারের সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৭০ সালে ‘পূর্ব অউর পশ্চিম’ ১৯৭২ সালে ‘ইয়াদগার’ ও ‘শোর’ এবং ১৯৭৪ সালে ‘রোটি কাপড়া অউর মকান’-এর মতো সিনেমায় তিনি সহকারী পরিচালক হিসেবে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
‘ডন’ পরিচালনার পর তিনি ১৯৮৯ সালে বাংলা চলচ্চিত্র ‘আশ্রিতা’ পরিচালনা করেন। যা বক্স অফিসে ৩ কোটি টাকা আয় করেছিল। তার পরিচালিত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘নীল কো পাকড়ানা ইম্পসিবল’এবং ‘হংকং ওয়ালি স্ক্রিপ্ট’। ১৯৯১ সালে তিনি ‘প্যায়ার ভরা দিল’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন।