নাসিম রুমি: বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় মার্শাল আর্টের জনক জাহাঙ্গীর আলম, যিনি বাংলাদেশি সিনেমায় ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম নামে অধিক পরিচিত। ১৯৫৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের উখিয়ায় জন্ম গ্রহণ করেন।
ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম মার্শাল আর্টের স্কুল চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠা করে এই শিল্পকে পরিচিত করতে থাকেন, একসময় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক প্রয়োজক ও পরিচালক ডেসিং হিরো মাসুদ পারভেজ সোহেল রানার সাথে পরিচিত হলে, সোহেল রানাই তাকে চলচ্চিত্রে কাজ করার আমন্ত্রণ জানান। এইভাবেই বাংলাদেশী সিনেমায় মার্শাল আর্টের যাত্রা শুরু হয়ে যায়, ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম বাংলাদেশে মার্শাল আর্টের প্রথম জাতীয় বীর,তাঁরই উদ্যোগে গড়ে উঠে অসংখ্য মার্শাল আর্ট ভিত্তিক স্কুল, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ও বাংলাদেশ কারাতে ফাইটার ক্লাব।
বাংলাদেশে মার্শাল আর্টকে চলচ্চিত্রে জনপ্রিয় করতে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম মার্শাল আর্ট ভিত্তিক প্রথম চলচিত্র প্রযোজনা করেন মার্শাল হিরো, জাহাঙ্গীর আলমের বিশ্বাস মার্শাল আর্টকে জনপ্রিয় করার একমাত্র মাধ্যমই হচ্ছে চলচ্চিত্র।
মাস্টার সামুরাই’ ছবির শুরুর মুহূর্তে জাহাঙ্গীর আলমের পরিচিতি এভাবেই দেয়া হয়। বাংলাদেশে মার্শাল আর্টের প্রতিষ্ঠাতা, গ্র্যান্ড মাস্টার। তাঁরই হাতে প্রশিক্ষিত পরবর্তী মার্শাল আর্টের জনপ্রিয় নায়ক রুবেল। প্রথম সিনেমায় আসেন লড়াকু সিনেমার মাধ্যমে, এই সিনেমায় ফাইট ডিরেক্টর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন, নির্মাণ করেছেন প্রখ্যাত নির্মাতা শহিদুল ইসলাম খোকন,জাহাঙ্গীর আলমের উল্লেখযোগ্য ছবি : শরীফ বদমাশ-সিআইডি-লড়াকু-হাইজ্যাক-বিদ্রোহী, মার্শাল হিরো, লিনজা, মাস্টার সামুরাই, ওস্তাদের ওস্তাদ, কুংফু নায়ক, প্রেমিক রংবাজ, মরণ লড়াই, সোহেল রানা, ক্যারাটি মাস্টার, কুংফু কন্যা, ওস্তাদ সাগরেদ, মৃ’ত্যুঘণ্টা, পেশাদার খুনি, সুন্দরী মিস বাংলাদেশ, সাহসী সন্তান, বিদ্রোহী মাস্তান ও লাল চোখ।
ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম ৪পুত্র সন্তানের জনক, কক্সবাজারে পরিবার নিয়ে খুব সুন্দরভাবে জীবন যাপন করছেন, কক্সবাজারে তার একটি জাহাঙ্গীর আলম রিসোর্ট রয়েছে, জাহাঙ্গীর আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন খুব শীঘ্রই একটি নতুন সিনেমায় কাজ করতে যাচ্ছি যে সিনেমাটির নাম “ডিজিটাল প্রেম” এই সিনেমায় নতুন চমক রয়েছে।
