English

21 C
Dhaka
বুধবার, ডিসেম্বর ৩, ২০২৫
- Advertisement -

ঢাকাই চলচ্চিত্রের সোনালি সত্তর

- Advertisements -

নাসিম রুমি: সত্তর দশক ছিল ঢাকাই চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগ। ওই সময় সামাজিক সেন্টিমেন্টের সব দারুণ ছবি নির্মিত হয়েছে, সিনেমা হলে গিয়ে সব ধরনের দর্শক সপরিবারে ছবিগুলো মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখেছেন। ঢাকাই ছবির যাত্রালগ্ন থেকেই বেশ কিছু ভালো ছবি তৈরি হয়েছিল। এই সময়টাতে সব ধরনের দর্শককে সিনেমা হলে ধরে রাখার মতো গুণী চলচ্চিত্র নির্মাতারও অভাব ছিল না।

ঢাকাই চলচ্চিত্রের পুরোধা ব্যক্তিত্ব আবদুল জব্বার খানের পথ অনুসরণ করেন এহতেশাম, মুস্তাফিজ, চাষী নজরুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, ই আর খান, দিলীপ সোম, সুভাষ দত্ত, রহীম নেওয়াজ, নারায়ণ ঘোষ মিতা, এস এম শফি, মোস্তফা মেহমুদ, খান আতাউর রহমান, আজিজুর রহমান, মহসিন, কামাল আহমেদ, কাজী জহির, ইবনে মিজান, নজরুল ইসলাম, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, দিলীপ বিশ্বাস, দেওয়ান নজরুল, সাইফুল আজম কাশেম প্রমুখ নির্মাতা দর্শক মন জয় করার মতো সব চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। ‘এ দেশ তোমার আমার’, ‘হারানো দিন’, ‘চকোরী’, ‘রাজধানীর বুকে’, ‘চান্দা’, ‘কখগঘঙ’, কাঁচের স্বর্গ, ‘নাচের পুতুল’, ‘কাঁচ কাটা হীরে’, ‘সমাধান’, ‘দীপ নেভে নাই’, ‘ছদ্মবেশী’, ‘অশ্রু দিয়ে লেখা’, ‘ছন্দ হারিয়ে গেল’, ‘পীচ ঢালা পথ’, ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘আবির্ভাব’, ‘যে আগুনে পুড়ি’, ‘কত যে মিনতি’, ‘আগন্তুক’, ‘যোগ বিয়োগ’, ‘মানুষের মন’, ‘অন্তরঙ্গ’, ‘একই অঙ্গে এত রূপ’, ‘স্মৃতিটুকু থাক’, ময়নামতি, অবুঝ মন, বধূবিদায়, নয়নমতি, গোলাপী এখন ট্রেনে, সুন্দরী, বসুন্ধরা, দি রেইন, মায়ার বাঁধন, স্বরলিপি, অশিক্ষিত, ছুটির ঘণ্টা, সমাধি, বন্ধু, অপেক্ষা, আনারকলি, অংশীদার, সোহাগ, ঘর সংসার, বৌরানী, একমুঠো ভাত, দোস্ত দুশমন, আসামী হাজির, এমন আরও অনেক ছবির নাম উল্লেখ করা যায়।

গুণী নির্মাতা জহির রায়হান তাঁর এক ছবি ‘জীবন থেকে নেয়া’ দিয়েই তো বাজিমাত করলেন। সাধারণভাবে তা পারিবারিক ড্রামা।

প্রতীকী ব্যঞ্জনায় এসেছে তৎকালীন পাকিস্তানি স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন। এককথায় ওই সময় জহির রায়হানের এই সাহসী শৈল্পিক ভূমিকা ছিল অসাধারণ। এ সময় দর্শক মাত করা অনেক ছবি তৈরি হয়েছে। কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ, পরিচালনা, সবই ছিল স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে অনন্য।গানগুলোর কথা আর সুর মন ছুঁয়ে যেত। এখানে কামাল আহমেদের ‘দর্পচূর্ণ’ ছবির কথা বলা যায়। নিটোল প্রেমের গল্প। কাহিনির বাঁকে বাঁকে ছিল ড্রামা। অভিনয়ে ছিলেন ওই সময়ের অন্যতম সেরা রোমান্টিক জুটি রাজ্জাক-কবরী।ছবিটির কালজয়ী গান ‘তুমি যে আমার কবিতা…’ এখনো অনেককে আপ্লুত করে। এ ধরনের ছবি ছিল আরও অনেক। পরিচালকও ছিলেন উঁচুমাপের। যেমন নারায়ণ ঘোষ মিতা। ১৯৬৮ সালে মুক্তি পেল তাঁর ‘এতটুকু আশা’। সে ছবি দেখতে গিয়ে দর্শক কেঁদেকেটে আকুল। বিশেষ করে ‘তুমি কি দেখেছো কভু জীবনের পরাজয়…’এই গানের দৃশ্যে কেঁদে বুক ভাসিয়েছেন দর্শক। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাঁর ‘আলোর মিছিল’ ছবিটিও ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায়। এ ছবিতে বেশ কিছু শ্রুতিমধুর গান রয়েছে। যেমন, ‘এই পৃথিবীর পরে কত ফুল ফুটে আর ঝরে’ পরবর্তী সময়ে আরও কিছু দর্শকনন্দিত ছবি আসে তাঁর হাত ধরে। আর কাজী জহিরের নাম না বললেই নয়। তাঁর প্রতিটি ছবিই অসাধারণ। ছবির কাহিনির বাঁকে বাঁকে চমক, নাটকীয়তা আর গান হলো তাঁর ছবির প্রাণ। ষাট দশকে যাত্রা শুরু করে সত্তর দশকজুড়ে তিনি ডাকসাইটে নির্মাতা হিসেবে ছিলেন। ‘নয়নতারা’, ‘ময়নামতি’, ‘মধুমিলন’-এসব ছবি করে পর্দা কাঁপিয়ে দিলেন। ‘ময়নামতি’ ছবিতে বশীর আহমেদের গাওয়া ‘অনেক সাধের ময়না আমার…’ এবং ‘মধুমিলন’ ছবিতে ফেরদৌসী রহমানের গাওয়া ‘কথা বলো না বলো ওগো বন্ধু…’ গানগুলো পুরোনো দিনের দর্শক-শ্রোতাকে এখনো আবেগাপ্লুত করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কাজী জহির বানালেন ‘অবুঝ মন’।

এ ছবিতে হিন্দু জমিদার কন্যার সঙ্গে মুসলিম ডাক্তারের প্রেম নিয়ে এলেন তিনি। তাঁর শৈল্পিক উপস্থাপন দর্শক লুফে নিল। এ ছবিতে ‘চলার পথে ক্ষণিক দেখা…’ গানটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। মেলোড্রামায় অভ্যস্ত ঢাকাই ছবির দর্শকদের তিনি দিলেন ভিন্ন রকমের ট্র্যাজেডির স্বাদ। তাঁর আরেকটি সুপারহিট ট্র্যাজেডি ছবি ‘বধূবিদায়’। আরেক নির্মাতা খান আতাউর রহমান, শবনম-রহমান অভিনীত তাঁর রোমান্টিক ছবি ‘জোয়ার ভাটা’ ওই সময়ের অন্যতম সেরা ছবি। গানগুলো অসম্ভব মিষ্টি। একটি ছিল ‘কুহু কুহু কোকিলা যারে ডাকে…’। খান আতা নিজেও এ ছবিতে বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ওই সময় দিক্ভ্রান্ত যুবকদের নিয়ে তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণ করলেন ‘আবার তোরা মানুষ হ’। এ ছবিতে একটি প্রধান চরিত্রে খান আতার অভিনয় ছিল অসাধারণ। ওই সময় অবশ্য মুক্তিযুদ্ধে পটভূমিতে বেশ কিছু ছবি নির্মিত হয়। এগুলো প্রায় সবই প্রশংসিত হয়েছে। দর্শক টেনেছে। এর মথ্যে ‘ওরা ১১ জন’, ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’, ‘আমার জন্মভূমি’, ‘ধীরে বহে মেঘনা’, ছবি বেশি আলোচিত হয়। এসব ছবির মধ্যে মিতার ‘আলোর মিছিল’, হারুনর রশীদের ‘মেঘের অনেক রং’, খান আতার ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ছিল একেবারেই অন্য রকম। একের ভেতর অনেক গুণ ছিল খান আতার। তিনি যে কেবল সুনিপুণ পরিচালকই নন, শক্তিমান অভিনেতা, গুণী সংগীত পরিচালক, ভালো চিত্রনাট্যকার, কাহিনিকার ও সংলাপ রচয়িতা ছিলেন। রহীম নেওয়াজ পরিচালিত ‘মনের মতো বউ’ ছবিতে অভিনয় আর সুরকার হিসেবে ওই সময়ের অগণিত দর্শক-শ্রোতাকে মাত করেছেন তিনি। ১৯৭৫ সালে মুক্তি পাওয়া তাঁর ‘সুজন সখী’ ছবিটি গুণে-মানে যেমন প্রশংসা অর্জন করে, তেমনি আয়ও করে প্রচুর। এ ছবির গানগুলোর মধ্যে ‘সব সখীরে পার করিতে নেব আনা আনা…’ ওই সময়ের অন্যতম সুপারহিট গান। ১৯৭৭ সালে আমজাদ হোসেন নির্মাণ করলেন তার ‘নিরক্ষর স্বর্গে’ উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র নয়নমণি। গ্রাম্য যত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী যুবক নয়নের বিদ্রোহে ছবিটি অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায় দর্শকদের। এ ছবির গান ‘কোন কিতাবে লিখা আছেগো হারাম বাজনা গান’, ‘চুল ধইরোনা খোপা’, ‘নানী গো নানী’ এখনো দর্শক ভুলতে পারেনি। এই নির্মাতার ১৯৭৮ সালে নির্মিত তারই উপন্যাস ধ্রুপদী এখন ট্রেনে অবলম্বনে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ দিয়ে তিনি রীতিমতো দর্শক, বক্স অফিস এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে বাজিমাত করে দিলেন।

এর গান ‘আছেন আমার মোক্তার’, ‘হায়রে কপাল মন্দ চোখ থাকিতে অন্ধ’ এখনো কি ভুলতে পেরেছে দর্শক। এরপর আমজাদ হোসেনের সুন্দরী, কসাই, দুই পয়সার আলতা ছবিগুলো ঢাকাই চলচ্চিত্রে ইতিহাস গড়ে আছে। আরেক চলচ্চিত্র নির্মাতা ছিলেন জহিরুল হক। তিনি ভালো কাহিনি লিখতেন। সংলাপ-চিত্রনাট্যে ছিলেন কুশলী। ভালো অভিনয় করতেন। বাংলাদেশে তাঁর হাতেই প্রথম নির্মিত হলো পরিপূর্ণ অ্যাকশন ছবি ‘রংবাজ’। ঢিসুম-ঢিসুম মারপিটে রাজা গুন্ডার ভিন্ন ইমেজে এসে সারা দেশের দর্শককে অন্য রকম বিনোদন দিলেন নায়করাজ রাজ্জাক। এ ছবির জন্য মফস্বলের হলগুলোতে অগ্রিম টিকিটও বিক্রি হয়েছে। এরপর ‘অবাক পৃথিবী’, ‘টাকার খেলা’, ‘অপরাধ’, ‘আপনজন’, ‘সাধু শয়তান’, ‘রাতের পর দিন’, ‘বাদশা’, ‘অন্তরালে’, ‘জীবন নিয়ে জুয়া’, ‘সমাধি’, ‘গুন্ডা’, ‘আসামি’ এমন আরও অনেক অ্যাকশন ছবি নির্মিত হয়েছে। ছবিটি ছিল ব্যাপক ব্যবসা সফল। সত্তর দশকের একটা সময় যখন অ্যাকশন ছবি দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে, এ সময় মারপিটের দৃশ্য পরিচালনার জন্য অনেক অভিনেতা আলাদা টিম গঠন করেন। অনেকে এককভাবেও ‘বিশেষ দৃশ্যের’ পরিচালক হিসেবে বেশ চাহিদা তৈরি করেন। এর মধ্যে সবার আগে আসে জসিমের নাম। তিনি গড়েছিলেন জ্যাম্বস গ্রুপ। এ ছাড়া মঞ্চুর রাহী, মাহবুব, গুই, মোসলেম প্রমুখ মারপিটের পরিচালক হিসেবে নাম কুড়ান। আর জসিম একসময় মন্দ চরিত্র থেকে সরাসরি নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তারপর দীর্ঘ সময় দাপটের সঙ্গে তিনি পজিটিভ চরিত্রে শীর্ষ ভূমিকায় অভিনয় করে গেছেন। তাঁর অনেক ছবি ব্যবসার দিক দিয়ে বক্স অফিস কাঁপিয়ে দিয়েছে। ‘দোস্ত দুশমন’ ছবিতে যে জসিম ভয়ংকর ভিলেন ছিলেন, তিনিই ‘সবুজ সাথী’, ‘সুন্দরী’, ‘রকি’-সব ছবিতে পজিটিভ রোলে অভিনয় করে অগণিত দর্শকের মন জয় করেন।

অ্যাকশন ছবির ক্ষেত্রে চটপটে ও আধুনিকমনস্ক নির্মাতা মাসুদ পারভেজের নামটি অপরিহার্য। ১৯৭২ সালে চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি ‘ওরা ১১ জন’-এ তিনি প্রযোজক হিসেবে আবির্ভূত হন। পরের বছর কাজী আনোয়ার হোসেনের জনপ্রিয় থ্রিলার সিরিজ থেকে কাহিনি নিয়ে নির্মাণ করেন ‘মাসুদ রানা’। সোহেল রানা নাম ধারণ করে এ ছবিতে নায়ক হিসেবে আসেন তিনি। একই ছবিতে নায়ক ও পরিচালক হিসেবে বিরাট সাফল্য আসে তাঁর। এ ছবিতে আরেকটু ফাস্ট, আরেকটু চোস্ত মারপিট নিয়ে আসেন তিনি। দর্শক সোহেল রানাকে সহজেই হৃদয়ে আসন করে দেন। এরপর আরও কিছু ছবি নির্মাণ করেছেন মাসুদ পারভেজ। তবে দর্শক তাঁর সোহেল রানা সত্তাটাকেই অধিক সাদরে গ্রহণ করেন। সত্তর দশকে ঢাকাই ছবির বাণিজ্যিক রসদ হিসেবে অ্যাকশন আর ঢেউ তোলা নাচের সেই যে ঢল নামল, তা কিন্তু আর থেমে থাকেনি। এই সুযোগটাকে লুফে নিলেন ইবনে মিজান, দেওয়ান নজরুল, এ জে মিন্টু, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু প্রমুখ পরিচালক। তাঁরা বলিউডের অ্যাকশন ছবির মালমসলা এনে ঢাকাই ছবিতে ঢালতে লাগলেন। বলিউডের কাহিনি অনুসরণে নির্মিত ছবিতে ঢাকাই ছবিপাড়া সয়লাব। ধুমধাড়াক্কা ধাঁচের এসব ছবি দর্শকও টেনেছে ভালো। ইবনে মিজানের ‘এক মুঠো ভাত’, ‘বাহাদুর’, বাবুল চৌধুরীর ‘সেতু’, দেওয়ান নজরুলের ‘দোস্ত দুশমন’ এমন আরও অনেক ছবি বেশ ভালো ব্যবসা করেছে। এ সময় সামাজিক ছবির মিষ্টি ইমেজের তারকারা একে একে অ্যাংরি ইমেজে আবির্ভূত হন। ‘দস্যু রানী’ ছবিতে মিষ্টি ইমেজের শাবানা নাম ভূমিকায় এসে অ্যাকশনের ষোলোকলা পূর্ণ করেন। ছবির একটি অ্যাকশন দৃশ্যে তাঁর ফ্লাইং কিক দেখতে দর্শক বারবার হলমুখো হয়েছেন।

একইভাবে ভিন্ন ধাঁচের জীবনঘনিষ্ঠ ছবি নিয়ে আরও আসেন সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকি, মসিহউদ্দিন শাকের, শেখ নিয়ামত আলী, আলমগীর কবির, কাজী হায়াৎ, মোরশেদুল ইসলাম, তানভীর মোকাম্মেল প্রমুখ নির্মাতা। এসব গুণী নির্মাতার হাতে তৈরি ‘সূর্যকন্যা’, ‘সীমানা পেরিয়ে’, ‘রূপালী সৈকতে’, ‘মোহনা’, ‘ঘুড্ডি’, ‘দহন’, ‘লাল-সবুজের পালা’, ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’, ‘পেনশন’, ‘দীপু নাম্বার টু’ ছবিগুলো দর্শককে বিশেষভাবে আলোড়িত করলেও অ্যাকশন ছবির ভক্ত বিপুলসংখ্যক দর্শকের নজর ফেরাতে পারেনি। অ্যাকশন ছবির ডামাডোলে পরিচালক আজিজুর রহমানও বেশ কয়েকটি সুনির্মিত স্বস্তিদায়ক ছবি নিয়ে আসেন। এর মধ্যে ‘অশিক্ষিত’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘মাটির ঘর’, ‘জনতা এক্সপ্রেস-এসব উল্লেখযোগ্য। সুঅভিনেতা, টিভি ব্যক্তিত্ব, নাট্যকার ও পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুনও বিভিন্ন সময় ভিন্ন স্বাদের ভালো ছবি উপহার দিয়েছেন। তাঁর নির্মিত ‘সারেং বৌ’ দর্শকনন্দিত ব্যবসাসফল ছবি। এ ছাড়া আরও কয়েকটি ভালো ছবি তৈরি করেন তিনি। এর মধ্যে ‘সখী তুমি কার’, ‘এখনই সময়’, ‘দুই জীবন’ উল্লেখযোগ্য।

কিন্তু আশির দশকের গোড়ার দিকে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সুনামির ঢেউ নিয়ে এলো ভিসিআর-ভিসিপি আর রঙিন টিভি। ভিডিও ক্যাসেটের কল্যাণে এ দেশে বলিউডের হিন্দি ছবি দেখার ধুম পড়ে যায়। এ সময় ‘কুরবানি’, ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’, ‘ববি’, ‘রোটি’, ‘শোলে’, ‘নসিব’, ‘খুদ্দার’, ‘ডন’, ‘মুকাদ্দার কা সিকান্দার’, ‘পুকার’, ‘তোফা’, ‘হিরো’, ‘ডন’-এসব ছবি সিনেদর্শকদের বিনোদনের ভিনদেশি প্রীতির দুয়ার খুলে দেয়। ফলে সত্তর দশকের চলচ্চিত্রের সেই সোনালি দিন আঁধারে হারিয়ে যায়।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/m0ab
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন