সিনেমায় ব্যতিক্রমী চরিত্রের চিত্রনাট্য আর সেভাবে আসছিল না। তখন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন ভেবেছিলেন, মনের মতো চরিত্র পেলে টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করবেন। কিন্তু এখানেও এত দিন তেমন একটা সুযোগ পাননি। তবে সম্প্রতি বইওয়ালা নামে একটি নাটকের পাণ্ডুলিপি পড়তে গিয়ে মনে হয়েছিল, সিনেমায় এই চরিত্র আগে করা হয়নি। তাই সঙ্গে সঙ্গে গল্পটিতে অভিনয় করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন এই নায়ক।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমাদের উপযোগী চরিত্রাভিনেতা হিসেবে সেভাবে আর কেউ গল্প লেখেন না। খুব কম গল্পই মনমতো হয়। সম্প্রতি মরণোত্তম নাটকে অভিনয় করে ভালো লেগেছিল। এবার বইওয়ালা গল্পটি পাওয়ার পর মনে হয়েছিল, চরিত্রটি অসাধারণ। এ ধরনের চরিত্রের প্রতি এখনো আমার অনেক লোভ আছে। কাজটি করতে গিয়েও বেশ ভালো লেগেছে। যিনি পড়ালেখা করতে পারেননি। কিন্তু বই নিয়ে তার সবচেয়ে বেশি আগ্রহ। বই নিয়ে তাকে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে দেখা যাবে। এর মধ্যে রোমান্টিক কিছু মুহূর্ত গল্পে অন্য মাত্রা যোগ করবে।’
সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষার গল্পই এ নাটকের প্রেক্ষাপট। অভিনেতার জায়গা থেকে কাজটি নিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চনের কিছুটা আক্ষেপও রয়েছে, ‘আমি সব নাটকে অভিনয় করি না। যেটা মনে হয় অন্য রকম, সেটা করি। এ নাটক ভালো হয়েছে। কিন্তু আরেকটু গোছানো হলে কাজটি আরও ভালো করা যেত। অভিনেতার জায়গা থেকে এ অসন্তুষ্টি আছে। সাড়ে ৪০০ সিনেমা করে এসে কোন কাজটি করছি, এটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এমন ভালো গল্পে সেরাটি দিয়ে অভিনয় করতে চাই। এমন ভালো গল্প পেলে নিয়মিত নাটকে দেখবেন দর্শক।’
‘সমাজে একধরনের অস্থিরতা চলছে। সেই অস্থিরতা কাটানোর উপায় তরুণদের বই পড়ায় উৎসাহিত করা। সৃজনশীল কাজ কীভাবে একজনকে সহনশীল করে তোলে, সেটা দেখানোর জন্যই নাটকটি নির্মাণ করা,’ বললেন নাটকটির নির্মাতা রাইসুল তমাল। নাটকটি খুব শিগগির একটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচার হবে। এখানে আরও অভিনয় করেছেন সুজন হাবিব, হিমি, দাউদ নুর প্রমুখ। নাটকটি লিখেছেন খাইরুল বাসার।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/3rxp