নাসিম রুমি: গ্ল্যামার জগতের চাকচিক্যের আড়ালে যে গাঢ় অন্ধকার লুকিয়ে থাকে, তার নাম ‘কাস্টিং কাউচ’। কাজের সুযোগের বিনিময়ে অনৈতিক সুবিধা চাওয়ার এই ঘৃণ্য প্রথা থেকে রেহাই পাননি টালিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী পায়েল সরকারও। সম্প্রতি এক পডকাস্টে নিজের জীবনের এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা সামনে এনে রীতিমতো বোমা ফাটালেন দেবের একসময়ের এই জনপ্রিয় নায়িকা।
একসময় টালিউডের বাণিজ্যিক সিনেমার অন্যতম সফল মুখ ছিলেন পায়েল। দেবের সঙ্গে তার জুটি বক্স অফিসে একাধিক ব্লকবাস্টার হিট উপহার দিয়েছে। অথচ খ্যাতির শিখরে থাকা এই অভিনেত্রীকেই কুপ্রস্তাবের শিকার হতে হয়েছিল।
সম্প্রতি ‘স্ট্রেট আপ উইথ শ্রি’-এর একটি পডকাস্টে অতিথি হিসেবে হাজির হন পায়েল। শো-এর প্রচারণামূলক ভিডিওতে দেখা যায়, সঞ্চালিকার সঙ্গে আলাপচারিতায় নিজের ক্যারিয়ারের কঠিন সময়ের কথা তুলে ধরছেন তিনি।
পায়েল বলেন, ‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন প্রযোজক আমার কাছে নির্দিষ্ট কিছু সুবিধা দাবি করেছিলেন।’ অভিনেত্রী ঠিক কী বোঝাতে চাইছেন, তা স্পষ্ট করতে সঞ্চালিকা পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘যৌন সুবিধা?’ জবাবে কোনো রাখঢাক না রেখেই পায়েল ধীর কিন্তু দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, ‘হ্যাঁ, সেটাই।’
নিজের সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে অভিনেত্রী আরও জানান, তিনি যখন সেই অনৈতিক আবদারে সাড়া দেননি এবং তার ক্যারিয়ারে ফ্লপ ছবির কারণে খারাপ সময় চলছিল, তখন সেই প্রযোজক প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠেন।
পায়েলের ভাষায়, ‘‘ফ্লপ ছবির পর আমার ক্যারিয়ারে যখন একটা কঠিন সময় চলছিল, সেই প্রযোজক তখন আমাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা খারাপ কথা লিখতেন। এমনকি আমার ছবিতে ‘ক্রস’ চিহ্ন দিয়ে উল্টোপাল্টা মন্তব্য করতেন। বেসিক্যালি তিনি পুরো ‘সাইকো’ হয়ে গিয়েছিলেন।”
তবে সেই প্রযোজকের নাম প্রকাশ না করলেও পায়েল জানান, তিনি ভেঙে পড়েননি। নিজের যোগ্যতায় তিনি ফিরে এসেছেন। তার কথায়, “তারপর আমি কামব্যাক করলাম। এরপর ‘প্রেম আমার’ হলো, ‘লে ছক্কা’ হলো। মনে আছে, এক বছরের ব্যবধানে দুটো ছবির শুটিং করেছিলাম।”
