নাসিম রুমি: প্রীতি জিনতা, বলিউডের কেবল উজ্জ্বল সুন্দরী এক অভিনেত্রীই নন, বরং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে নিজেকে আড়ালে রাখা বা এড়িয়ে না গিয়ে প্রতিবাদ করার জন্যও পরিচিত। তিনি একবার এক পুরুষ দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। আর সেটা নিয়ে তুমুল প্রতিবাদও করেছেন।
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রীতি জানিয়েছেন, সে সময় তিনি কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছিলেন।
অভিনেত্রী দিল্লিতে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া যৌন নির্যাতনের একটি ভয়াবহ ঘটনা শেয়ার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘স্কুলে আমি মেয়েদের স্কুলে পড়তাম। এর কারণ সেখানে কোনো ইভটিজিংয়ের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু আসলে তা নয়। সেখানে সবই ছিল। স্কুলের বাইরে বের হলেই টিজিংয়ের শিকার হতাম।’
প্রীতি স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘স্কুলে মেয়েরাও কম ছিল না। ‘তুমি জানো তোমার গোলাপী গাল, খুব হালকা ত্বক, এসব বেশ দারুন!’ এসব কথা তারা শরীরে হাত দিয়েই বলতো। মেয়ে বলে শুরুতে গায়ে মাখাতাম না। কিন্তু পরে তাদের সাবধান করে দিয়েছি। কিন্তু বাইরে ছেলেদের মুখ বন্ধ করাবো কীভাবে? তারা আমাকে জ্বালাতন করার চেষ্টা করত।’
‘কাল হো না হো’ অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘একাধিকবার আমি এখানে সেখানে কয়েকজনকে থাপ্পড়ও মেরেছিলাম। তারপর আমার মনে হয় একদিন আমার ভাই আমাকে বলেছিল, তোমাকে হত্যা করা হবে, এসবের মধ্যে জড়াতে হবে না। এরপর আমি মুম্বাই চলে আসি। তবে মুম্বাই দুর্দান্ত ছিল। এখানে আমাকে টিজিংয়ের শিকার হতে হয়নি।’
স্কুল জীবনের ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদই নয়, কর্মজীবনে এসেও প্রতিাবাদের ধারা বজায় রেখেছেন প্রীতি। পড়াশোনা করেছেন অপরাধমূলক মনোবিজ্ঞান নিয়ে। এ কারণে হয়তো সাইকোলজি বেশ ভালো বোঝেন এ অভিনেত্রী। এ কারণে কাজের ক্ষেত্রে প্রশংসা এবং সমালোচনা- দুটোই তিনি অর্জন করেছেন। তার সাহসের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করলে বলতে হয়, ২০০০ সালের গোড়ার দিকে ভারত শাহ আন্ডারওয়ার্ল্ড মামলার সময় তিনি সাহসের সঙ্গে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, যা সিনেমা জগতের খুব কম লোকই করতে ইচ্ছুক ছিল। তিনি সিনেমার সেটে এবং কর্মক্ষেত্রে নারীদের হয়রানি এবং অন্যায্য আচরণ সম্পর্কেও খোলাখুলি কথা বলেছেন।
এদিকে কাজের ক্ষেত্রে প্রীতিকে রাজকুমার সন্তোষীর ‘লাহোর ১৯৪৭’ ছবিতে দেখা যাবে।