নাসিম রুমি: উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা ও দেশবরেণ্য চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী আলমগীর দম্পতির বাড়িতে গতকাল শনিবার বসেছিল তারার মেলা। রুনা–আলমগীরের ডাকে এদিন সন্ধ্যায় একে একে তারকারা এসে হাজির হন। রুনা–আলমগীরের বাড়িতে অতিথি হয়ে শবনম,চম্পা,ফেরদৌস, রিয়াজ, আমিন খান, অমিত হাসান, নাইম, সাবনাজ, নাঈম, বাপ্প রাজ, সম্রাট ও রোজিনা উপস্থিত ছিলেন।
বরেণ্য অভিনয়শিল্পী শবনম এখন খুব একটা বাসার বাইরে যান না। কিন্তু রুনা লায়লা ও আলমগীর দুজনই তাঁর ভীষণ পছন্দের। তাই তো ছুটে এসেছিলেন গতকালের দাওয়াতে। শবনমকে ঘিরে তাই চলচ্চিত্রের অনুজ অভিনয়শিল্পীরাও মেতে ওঠেন।
বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের ইতিহাসের নায়করাজ রাজ্জাক ঝলমলে একটা পোস্টার। অসাধারণ সব চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জায়গা করে নিয়েছেন মানুষের মনে। এ মানুষটির পৃথিবীর ভ্রমণ শেষ হয়েছে কয়েক বছর আগে। রাজ্জাকের জীবনে তাঁর স্ত্রী খায়রুন্নেসা লক্ষ্মীর অবদান অনস্বীকার্য। রাজ্জাকের জীবনের প্রথম সময়টা কেটেছে কলকাতায়। তিন ভাই–বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট।
থাকতেন কলকাতার নকতলা নামের একটি জায়গায়। আসা–যাওয়ার পথেই ১৯৬২ সালের কোনো এক দিন বাঁশদ্রোণী এলাকায় দেখা হয় খায়রুন্নেসার সঙ্গে, যিনি রাজ্জাকের জীবনে ‘লক্ষ্মী’ হয়ে এসেছিলেন। সেই লক্ষ্মী আজ কয়েক বছর রাজ্জাকহীন। গুলশানের লক্ষ্মীকুঞ্জের বাড়ির বাইরেও খুব একটা দেখা যায় না এই কিংবদন্তির স্ত্রীকে। সেই লক্ষ্মীও এসেছিলেন রুনা–আলমগীরের দাওয়াতে তাঁদের মোহাম্মদপুরের আসাদ অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে।