এফডিসিতে ফারুকের জানাজা সম্পন্ন হয় দুপুর ১ টা ৫০ মিনিটে। এর আগে ১২টা ৩৫ মিনিটে শহীদ মিনার থেকে এফডিসির উদ্দেশে রওনা হয় মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স। যাওয়ার আগে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বেলা একটার দিকে এফডিসিতে পৌঁছায় মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স।
এফডিসিতে ফারুকের মরদেহ নিয়ে ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সটি পৌঁছানোর পর সে দৃশ্যে কান্না চেপে রাখতে পারেননি দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা। শেষবারের মতো ফারুককে দেখতে উপস্থিত হয়েছিলেন আলমগীর, ইলিয়াস কাঞ্চন, নাঈম, সুচন্দা,রোজিনা, অঞ্জনা, নাঈম, ফেরদৌস,বাপ্পী, ডিপজলসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।
ফারুকের মরদেহ মঙ্গলবার সকালে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আসে। বিমানবন্দর থেকে প্রথমে নেওয়া হয় নায়কের রাজধানীর উত্তরার বাসায়। সেখানে কিছুক্ষণ রেখে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় শহীদ মিনারে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এফডিসিতে দ্বিতীয় দফায় জানাজা হয়। এফডিসি থেকে ফারুকের মরদেহ নেওয়া হবে চ্যানেল আই ভবনে। সেখানে আরেক দফা জানাজা শেষে কিংবদন্তী অভিনেতার মরদেহ নেওয়া হবে গুলশান আজাদ মসজিদে। সেখানে বাদ আসর আরেক দফা নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
সন্ধ্যা ৭টায় গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কালিগঞ্জে নেওয়া হবে মরদেহ া। সেখানে দখিন সোম টিওরী জামে মসজিদে জানাজা শেষে পাঠান বাড়ি পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে শায়িত হবেন নায়ক ফারুক।
সোমবার (১৫ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফারুক। তিনি জিবিএস নামে বিরল নিউরোলোজিক্যাল রোগে ভুগছিলেন।