নাসিম রুমি: তারকাদের প্রায়ই একটা কথা বলতে শোনা যায়, অনেক স্ট্রাগল করে সাফল্য অর্জন করেছেন তাঁরা। কেউ দিনের পর দিন রাস্তায় দিন কাটিয়েছেন কেউ আবার অভুক্ত থেকে। টলিউড হোক বা বলিউড, সর্বত্র এই একটি কথাই শুনতে পাওয়া যায়, স্ট্রাগল না করলে বড় হওয়া যায় না।
তারকাদের প্রায়ই একটা কথা বলতে শোনা যায়, অনেক স্ট্রাগল করে সাফল্য অর্জন করেছেন তাঁরা। কেউ দিনের পর দিন রাস্তায় দিন কাটিয়েছেন কেউ আবার অভুক্ত থেকে। টলিউড হোক বা বলিউড, সর্বত্র এই একটি কথাই শুনতে পাওয়া যায়, স্ট্রাগল না করলে বড় হওয়া যায় না।
কিন্তু এই ‘স্ট্রাগল’ কথাটিকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিতে নারাজ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি মনে করেন, সব পেশাতেই কমবেশি কষ্ট করতে হয়। কষ্ট না করলে কখনও সাফল্যে অর্জন করা যায় না। এতে আলাদা করে বলার কিছু নেই।
আনন্দবাজারকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘আমার মনে হয় না স্ট্রাগল কথাটা কোনও তকমা, সবাইকেই কমবেশি কষ্ট করতে হয়। আপনি যে পেশাতেই থাকুন না কেন, আপনি যদি কষ্ট না করেন তাহলে কখনওই ওপরে উঠতে পারবেন না। এতে আলাদা করে বলার কিছু নেই।’
প্রসেনজিৎ আরও বলেন, ‘ধরুন আপনার খুব খিদে পেয়েছে, আপনি বাড়িতে এসেছেন আর ফ্রিজে অনেক খাবার রয়েছে। ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে খাওয়ার মধ্যে কোনও আনন্দ নেই কিন্তু আপনি যদি সারাদিন পরিশ্রম করে একটা ডিম পাউরুটিও খান তাহলে সেই খাবার খাওয়ায় আলাদাই তৃপ্তি রয়েছে। আমি ওই তৃপ্তিতেই বিশ্বাসী।’
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, স্বনামধন্য অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সন্তান হলেও নিজেকে প্রমাণ করার জন্য বহু পরিশ্রম করতে হয়েছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। একটা সময় বাংলা ছবির যখন দুরবস্থা, তখন একা কাঁধে গোটা ইন্ডাস্ট্রি এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন তিনি একা কাঁধে গোটা ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন তিনি।
চলতি বছর প্রসেনজিৎ অভিনীত ‘দেবী চৌধুরানী’ মুক্তি পেয়েছে যা বক্স অফিসে দুর্দান্ত সফলতা অর্জন করেছে। ৯০ শতক থেকে এখনও পর্যন্ত তিনি যেভাবে নিজেকে বারবার ভেঙেচুরে তৈরি করেছেন তা সত্যি শিক্ষনীয়।
প্রসঙ্গত, খুব শীঘ্রই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের একমাত্র সন্তান তৃষানজিৎ চট্টোপাধ্যায় অভিনয় জগতে পদার্পণ করবেন। তবে কোনও তারকা সন্তান হিসেবে নয়, নিজের যোগ্যতাই নিজেকে প্রমাণ করতে হবে তাঁকে। ছেলের প্রতি অগাধ বিশ্বাস রয়েছে বাবার তাই তিনি চান ছেলে যেন নিজেই নিজেকে প্রমাণ করে, যা আসবে শুধুমাত্র অধ্যাবসায় এবং কঠিন পরিশ্রমের হাত ধরে।
