অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় কে-পপ ব্যান্ড বিটিএসের সদস্য সুগা।
অটিস্টিক শিশু-কিশোরদের কল্যাণে ৫০০ কোটি ওন (কোরীয় মুদ্রা) দান করেছেন এই গায়ক। এই টাকায় সিউলের সেভেরান্স হাসপাতালে সুগার নামে ‘একটি চিকিৎসাকেন্দ্র তৈরি করা হবে।
র্যাপার গীতিকার সুগার আসল নাম হল মিন ইউং-গি। তাই ওই চিকিৎসাকেন্দ্রের নাম ঠিক করা হয়েছে ‘মিন ইউং-গি’। এই চিকিৎসাকেন্দ্রটি চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে চালু হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। সেখানে অটিজমে আক্রান্ত শিশু ও কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে।
কে-পপ তারকা সুগা এর আগেও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করেছেন। সুগা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, অটিজমে আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবার কাজে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়ে তিনি কৃতজ্ঞ।
সুগা বলেন, “গত সাত মাস ধরে এই প্রোগ্রামটি চালু করার প্রস্তুতি চলছে। আমি মনে করি সংগীতের পাশাপাশি এই কাজের মাধ্যমে মানুষের সাথে যোগাযোগ তৈরির একটি ইতিবাচক উপায় হতে পারে।”
সেভেরান্স হাসপাতালও একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘মিন ইউং-গি’ চিকিৎসা কেন্দ্রের লক্ষ্য হল অটিজমে আক্রান্তদের দক্ষতা বাড়াতে চিকিৎসা ও প্রশিক্ষণের সাথে সংগীত চর্চাকে একীভূত করা হবে।
১৮ মাসের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে গেল শনিবার ফিরেছেন সুগা। প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন দলের বাকি ছয় সদস্য আরএম, জিন, জে-হোপ, জিমিন, ভি ও জাংকুক।
দলের সাতজন সদস্যের মধ্যে ছয়জন সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন। আর দূর্ঘটনা থেকে কাঁধে আঘাতের কারণে সুগা তার সামরিক দায়িত্ব পালন করেছেন ‘সোশ্যাল সার্ভিস এজেন্ট’ হিসেবে, যা বিকল্প ধরনের সামরিক সেবা।
২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর ‘ইয়েট টু কাম’ কনসার্টে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল বিটিএসের পারফরম্যান্স। সেখানে বিটিএস সদস্যরা তাদের ভক্তদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সামরিক প্রশিক্ষণ থেকে ফিরে এসে আরও দারুণ সব গান উপহার দেবেন তারা। সেই সময় এসে গেছে।
ফেরার পর প্রায় তিন বছর পর একসাথে হবেন বিটিএসের সাত সদস্য। ভক্তরা অপেক্ষায় আছেন, কবে আবার তাদের একসঙ্গে মঞ্চে দেখা যাবে।