English

32.9 C
Dhaka
রবিবার, জুলাই ২০, ২০২৫
- Advertisement -

অভিনেত্রী স্বস্তিকার বিস্ফোরক মন্তব্য: ‘মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু’

- Advertisements -

এবার নারীদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন পশ্চিমবঙ্গের আলোচিত অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তার মতে, মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু।  তার উদ্দেশে কটাক্ষের শেষ নেই! তিনি সাজলেও ব্যঙ্গ, যেন যৌনকর্মীদের মতো সেজেছেন! তিনি না সাজলে অকারণ অবসাদের তকমা। বিস্মিত স্বস্তিকার আবিষ্কার, এই কটাক্ষকারীদের তালিকার সিংহভাগজুড়ে রয়েছে মেয়েরাই।

সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় সে কথাই জানান অভিনেত্রী। তার দাবি, “সাজসজ্জা থেকে আচরণ, সব কিছুতেই ইদানিং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন এবং আমায় বেশি বিদ্রূপ করেন মেয়েরাই!”

বরাবরই স্বস্তিকা ‘আনকাট’, যা ভাবেন, তা-ই বলেন। নিজের শরীর নিয়েও অকারণ ছুঁৎমার্গ নেই। মুখের দাগছোপ রূপটানে না লুকিয়েই ছবি তোলেন। সেই ছবি অনায়াসে পোস্ট করেন ইনস্টাগ্রামে। আগের তুলনায় ঈষৎ পৃথুলা। তাই নিয়েও মাথাব্যথা নেই। অভিনেত্রীর দাবি, “বয়স এগোলে শরীর ভারী হবেই। কিংবা আমার শরীর ভারিক্কি! তাতে কী? আমার শরীর নিয়ে, স্ট্রেচমার্ক নিয়ে, দাগছোপ নিয়ে আমার সমস্যা না থাকলে অন্যদের থাকবে কেন?” এ কথা নেটমাধ্যমেও হাজার বার বলেছেন। একই সঙ্গে বিনা দ্বিধায় সাঁতারের পোশাক পরার পরামর্শও দিয়েছেন।

কেন সব কিছু নিয়েই বারবার বিতর্কিত মন্তব্য করেন স্বস্তিকা? জেনেবুঝে করেন? নাকি নিজেকে সাহসী প্রমাণিত করতে? অভিনেত্রীর কথায়, কোনওটাই নয়। তিনি সোজাসাপ্টা কথা বলেন। তার অর্থ বদলে দিয়ে নাকি বিতর্কের জন্ম দেয় সংবাদমাধ্যম এবং নেটমাধ্যম। পাশাপাশি, ‘সাহসী’ উপাধি পেতে পেতেও তিনি ক্লান্ত। বরং যা দেখানো হয়, আসলে নাকি তেমন নন তিনি। স্বস্তিকাও প্রিয়জনের উপরে নির্ভর করতে ভালবাসেন। কেউ তাকে আগলিয়ে রাখবে, এমন সাধ তারও জাগে। খুব ইচ্ছা করে, প্রিয়জনের ক্রেডিট কার্ড নিয়ে কেনাকাটা করতে বের হবেন। এরপরই তার কটাক্ষ, “এসব শুনেও হয়তো মন্তব্যের বান ডাকবে! সবাই ভেবে নেবেন স্বস্তিকা রণক্লান্ত!”

স্বস্তিকা তাই নিজের ভাল বুঝতে শিখেছেন। কোনও নেতিবাচক মন্তব্য পড়েও দেখেন না। মাথাও ঘামান না। নিজেকে ভাল রাখতে যা করার সেটাই করেন। বাকিদেরও তার পরামর্শ, নিজের মতো চলতে চাইলে নিজেকে শক্তপোক্ত করতে হবে। প্রতিবাদ করতে জানতে হবে। প্রয়োজনে বাড়িতে বড়দের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। শিক্ষা সম্পূর্ণ হলে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। যাতে নিজের দায়িত্ব নিজেই নিতে পারেন। পাশাপাশি, আরও একটি বিষয় অভ্যাস করতে হবে। কী সেটা? “সকালে ঘুম ভাঙলে বিছানায় বসেই নিজেকে বলুন, “তোমরা যা বল তাই বল, আমার লাগে না মনে।”

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/dftg
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন