English

25.7 C
Dhaka
সোমবার, জুলাই ১৪, ২০২৫
- Advertisement -

‘আব্দুল্লাহ’ সিনেমায় দিলদারের নায়িকা হতে আমাকে সবাই নিষেধ করেছিল: নূতন

- Advertisements -

নাসিম রুমি: আশি ও নব্বই দশকের জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা দিলদার। চলচ্চিত্রে যার উপস্থিতি মানে হাসি। তার অভিনয় দেখে দুঃখ ভুলেছেন কোটি কোটি দর্শক। পর্দায় তাকে দেখে হাসবেন না এমন দর্শক পাওয়া কঠিন। যতক্ষণ তিনি অভিনয় করবেন, ততক্ষণই মুগ্ধ হয়ে সবাই শুধু তাকেই দেখবেন।

কৌতুক অভিনেতার তকমা পেরিয়ে নায়িকের ভূমিকায়ও পাওয়া গেছে তাকে। ‘আব্দুল্লাহ’ সিনেমায় নায়ক হয়েও সাফল্য পেয়ে চমকে দিয়েছিলেন তিনি।

এক সাক্ষাৎকারে প্রযোজক-অভিনেতা নাদের খান বলেন, তোজাম্মেল হক বকুলের ‘আব্দুল্লাহ’ সিনেমায় নায়ক হন দিলদার। নির্মাতার কাছে নায়কের প্রস্তাব পেয়ে অবাক হয়েছিলেন তিনি। তোজাম্মেল হক বকুলের প্রস্তাব পেয়ে দিলদার বলেন, আপনি কি আমার পেটে লাথি দিতে আসছেন? এই সিনেমা করার পর তো আমার কৌতুকের জায়গাটাও হারিয়ে যাবে। আমার তো আর কাজই থাকবে না। বৌ-বাচ্চা নিয়ে তখন কই যাবো? অনেক অনুরোধের পর রাজি হন দিলদার।

নাদের খান বলেন, তবে দিলদারের বিপরীতে কে হবেন নায়িকা? এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল জটিলতা। প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মৌসুমী, শাবনূরসহ বেশ কয়েকজন নায়িকা। এরপর নূতনের কাছে প্রস্তাব নিয়ে যান নির্মাতা। সম্মতি জানান তিনি।

তিনি বলেন, এরপর থেকে নূতনের কাছে অনেক ফোন আসতে শুরু করে, তিনি যেন সিনেমাটি না করেন! কিন্তু দমে যাননি নূতন। সিনেমাটি তৈরির পরেও নির্মাতা ও প্রযোজক ছিলেন ভয়ের মধ্যে। কেন দিলদারকে নিয়ে এই ঝুঁকি নিয়েছেন, হলমালিকদের কাছ থেকেও শুনতে হয়েছে এমন প্রশ্ন। তবে মুক্তির পর বদলে যায় দৃশ্যপট। প্রথম দিন থেকে হলে ভিড় জমায় দর্শক।

দিলদারের সঙ্গে সিনেমা নিয়ে নায়িকা নূতন বলেন, দিলদার যখন চলচ্চিত্রে আসেনি তখন থেকেই আমি ওনাকে চিনি। এরপর তার সঙ্গে অনেক কাজ হয়েছি। নায়ক হিসেবে তাকে পেয়েছি ‘আব্দুল্লাহ’ সিনেমায়। এই সিনেমায় রাজি হওয়ার পর প্রায় সবাই আমাকে নিষেধ করেছে।

নায়িকা হিসেবে তার সঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছি আমার নিজের জন্য। কারণ, আমি নায়িকা, নির্মাতা যদি রাস্তার একজন মানুষকে আমার পাশে নিয়ে দাঁড় করান তার সঙ্গে অভিনয় করা আমার দায়িত্ব। আমার জায়গায় আমি সঠিক ছিলাম। কাজটা শেষ হওয়ার পর বুঝেছি দর্শক আমাকে কতটা ভালো বাসেন।

সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৯৭ সালে। প্রযোজক জানান, সে সময় আব্দুল্লাহ প্রায় ৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল।

‘আব্দুল্লাহ’ সিনেমা মুক্তির ৬ বছর পর অর্থাৎ ২০০৩ সালের আজকের এই দিনে (১৩ জুলাই) দর্শকের মুখের হাসি কেড়ে নিয়ে পাড়ি দেন না ফেরার দেশে। মৃত্যর ২২ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও তাকে স্মরণ করেন দর্শকেরা।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/anp6
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন