পহেলগাঁওকাণ্ডের নিন্দায় সরব হয়েছিলেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির। দুর্ঘটনার পরপরই সামাজিক মাধ্যমে অভিনেত্রী লিখেছিলেন— যে কোনো স্থানের দুর্ঘটনাই আমাদের কাছে সমানভাবেই দুঃখজনক। এ ঘটনায় যে নিরীহ মানুষগুলো প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের জন্য আমার মন ভারাক্রান্ত। যন্ত্রণা, শোক ও আশা— এই তিন মিলিয়ে আমরা সবাই এখন একসঙ্গে।
তিনি আরও বলেন, নিরীহ প্রাণের এমন পরিণতি হলে, সেই যন্ত্রণা শুধু তার একার থাকে না, সেই যন্ত্রণা আমাদের সবার হয়ে যায়। আমরা যে এলাকারই মানুষ হই না কেন, শোকের একটাই ভাষা হয়— মানবতা। আমরা যেন সবার আগে মানবতাকেই বেছে নিতে পারি।
হানিয়ার সারল্য অনুরাগীদের ভীষণ পছন্দ। খোলামেলাভাবে সহজ-সরল বিষয় নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের সঙ্গে কথা বলেন এ পাক অভিনেত্রী। ভারতীয় অনুরাগীদের মন্তব্যে তিনিও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। পাল্টা উত্তর দিয়েছেন হানিয়া— আমি কিন্তু এবার কেঁদে ফেলব।
২২ এপ্রিলের ভয়াবহ ঘটনার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। পাকিস্তানি শিল্পীদের নিষিদ্ধ করার দাবিও ওঠে নানা মহলে। এরপরেই বেশ কিছু পাক শিল্পীর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার।
যে কয়েকজন পাক তারকার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে ভারত, তাদের বহু ভক্ত-অনুরাগী রয়েছে সে দেশে। তারা রীতিমতো বিমর্ষ এ ঘটনায়। যেমন হানিয়া আমিরের অ্যাকাউন্ট বন্ধ হতেই দুঃখপ্রকাশ করেন তার ভারতীয় অনুরাগীরা।
তবে কেউ কেউ হার মানার পাত্র নন। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম বন্ধ হলেও ঠিক তারা উপায় বার করেছেন। প্রযুক্তির সাহায্যে ভিপিএন ব্যবহার করে তারা পৌঁছে গেছেন হানিয়ার ইনস্টাগ্রামে। অভিনেত্রীর বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওর মন্তব্যের ঘরে তারা লিখেছেন—আপনার কথা খুব মনে পড়ছে। কেউ আবার লিখেছেন—আপনাকে দেখার জন্য আমরা ভিপিএন পরিষেবা নিয়েছি।