হলিউড অভিনেত্রী গ্যাল গ্যাদত অভিনীত ‘স্নো হোয়াইট’ সিনেমাটি বক্স অফিসে সাড়া ফেলেনি। সিনেমাটি মুক্তির পর ব্যাপক সমালোচনা ও বয়কটের ডাক ওঠে। বক্স অফিসে সিনেমাটি নাকি প্রায় ১১৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছে। প্রযোজক সূত্রে এমনটিই জানা গেছে।
অনেকে এ সিনেমা ফ্লপের জন্য ইসরাইলি অভিনেত্রী গ্যাল গ্যাদতকেই দায়ী করেছেন। ফিলিস্তিনে ইসরাইলের জঘন্য ও অমানবিক হামলায় বিশ্বজুড়ে তৈরি হয়েছে ঘৃণা। সে জন্যই বয়কটেরও ডাক এসেছে বহু জাতি ও দেশের মধ্যে থেকে।
সম্প্রতি ইসরাইলি টকশো ‘দ্য এ টকস’-এ এক সাক্ষাৎকারে গ্যাল গ্যাদত স্পষ্ট করে বলেন, কেবল তার ইসরাইল সমর্থনের কারণেই ফ্লপ হয়নি ডিজনির বহুল আলোচিত সিনেমা ‘স্নো হোয়াইট’। আরও অনেক কারণ এর জন্য দায়ী।
গত রোববার (১৭ আগস্ট) সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে গ্যাল গ্যাদত বলেছেন, সিনেমাটি কেবল বাইরের চাপের কারণে ফ্লপ হয়নি। সিনেমা ব্যর্থ হওয়ার পেছনে অনেক কারণ কাজ করে। আর কোনো কাজেই সফলতা কখনো নিশ্চিত নয়। সেটি কখনো আসে, আবার কখনো আসে না।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর সেলিব্রিটিদের ওপর ইসরাইলের বিরুদ্ধে কথা বলার চাপ বেড়ে যায়। সেই সময় তার প্রতি ব্যক্তিগতভাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ‘মানুষ আমাকে আগে ইসরাইলি হিসেবে দেখেছে, অভিনেত্রী হিসেবে নয়।
ধারণা করা হচ্ছে— ‘স্নো হোয়াইট’ সিনেমায় ইসরাইলি অভিনেত্রী গ্যাল গ্যাদত থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন সিনেমাপ্রেমী দর্শকরা। কারণ এ অভিনেত্রী ইসরাইলের একজন কট্টর সমর্থক। সে জন্যই সিনেমাটি সাফল্যের মুখ দেখেনি।
র্যাচেল জেগলারের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়েও ইতিবাচক মন্তব্য করে অভিনেত্রী বলেন, শুটিং করতে গিয়ে অনেক আনন্দ হয়েছে। তবে আমি খানিকটা হতাশ। আমার ধারণা ছিল— সিনেমাটি বিশাল সাফল্য পাবে, সেটি হয়নি।