English

29 C
Dhaka
শনিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
- Advertisement -

এত লোকের এতকিছু হয়, কেন আমাকে নিয়েই এমন হচ্ছে: শ্রাবন্তী

- Advertisements -

শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি অভিনয়জীবনের ২৫ বছরের বেশি সময় কাটিয়েছেন। একের পর এক হিট সিনেমায় অভিনয় করে যেমন পরিচিতি পেয়েছেন, তেমনি ব্যক্তিগত সম্পর্ককে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্রূপও করা হয়েছে তাকে।

শ্রাবন্তী সম্প্রতি অংশ নিয়েছেন রাজর্ষি দে পরিচালিত ‘সাদা রঙের পৃথিবী’ সিনেমার প্রচারে। শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। আলাপের শুরুতেই তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, বসন্ত কেমন কাটছে?
জবাবে শ্রাবন্তী বলেন, ‘এই বসন্ত শুধু কাজ করেই কাটছে। শো, শুটিং, নতুন ছবির প্রোমোশন। এখন কাজের সঙ্গেই প্রেম।’

Advertisements

১৯৯৭ সালে ‘মায়ার বাঁধন’ সিনেমা দিয়ে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন শ্রাবন্তী। ফিরে তাকালে কী মনে হয়?

অভিনেত্রী বলছেন, ‘অনেক কিছু দেখলাম, অনেক ধরনের চরিত্রের সাক্ষী রইলাম। এত ছোটবেলা থেকে এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি, একটা সময় সিরিয়ালও করেছি। অভিনয় আমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে। অভিনয়ের মধ্যেই থাকতে চাই। প্রচুর স্ট্রাগলও করেছি। ১৬–১৭ বছরে মা হয়েছি। পরিবারের সাপোর্ট ছাড়া কিছুই করতে পারতাম না। কারণ তখন আমি তো নিজেই ছোট। মা-দিদি-বাবা সবার সাহায্য ছাড়া কিছুই পারতাম না, এখনো তাই। ওদের সমর্থন ছাড়া এতটা দূর এগোতে পারতাম না। এটার জন্য নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হয়।’

‘সাদা রঙের পৃথিবী’ সিনেমায় দ্বৈত চরিত্রে দেখা গেছে শ্রাবন্তীকে। এই প্রথম একই সিনেমায় ইতিবাচক ও নেতিবাচক চরিত্রে দেখা গেছে তাকে। অভিনেত্রী বলছেন, বিধবা পাচার ছবির বিষয়। সিরিয়াস ইস্যু নিয়ে ছবি।
কিছু দিন আগেই নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘আমার বস’-এর কাজ শেষ হয়েছে। যেখানে রাখি গুলজারের সঙ্গে শ্রাবন্তী পর্দা ভাগ করেছেন।

Advertisements

সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে তিনি বলেন, ‘ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতা। এত সুন্দরী, আমি তো ওর দিকে হা করে তাকিয়েই ছিলাম। আমার বাবার বিশাল ক্রাশ উনি। মা–বাবা দুজনেই খুব রোমাঞ্চিত। রাখি গুলজারকে দেখলাম শট শুরু হওয়ার আগে মজা করছেন, কিন্তু শট শুরু হতেই সিরিয়াস। ওই সুইচ অন-অফটা দারুণ পারেন। উনি কিংবদন্তি, ওকে দেখতেই থাকতাম আমি।’

কথায় কথায় আসে সমালোচনার প্রসঙ্গও। প্রায়ই কারণে-অকারণে বিদ্রূপের শিকার হন শ্রাবন্তী। যখন এমন সমালোচনা হয়, নিজেকে সামলান কীভাবে? অভিনেত্রীর জবাব, ‘সমালোচনা সবাইকে নিয়ে হয়। যার নাম আছে, তার বদনাম আছে।

মানুষ হিসেবে একসময় এগুলো হলে খারাপ লাগত। এত লোকের এতকিছু হয়, কেন আমাকে নিয়েই এমন হচ্ছে, মনে হতো। কারুর কারুর স্বভাব আছে, লোকজনকে নিয়ে সমালোচনা করার। এখন আর এসবে কিছু যায়-আসে না। কারণ আমি জানি, জীবন খুব অনিশ্চিত। আজ আছি, কাল নেই। বর্তমানে বাঁচি।’

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন