নাসিম রুমি: এমন ঈদ কখনোই আসেনি কুমার বিশ্বজিতের জীবনে। ঈদ উৎসবের সময়টা বেশ ব্যস্ততায় কাটত। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঘটে যাওয়া একটি দুর্ঘটনা তাঁর জীবনের সব হিসাব–নিকাশ পাল্টে দিয়েছে। তাঁর একমাত্র সন্তান কুমার নিবিড় কানাডায় মারাত্মক দুর্ঘটনায় আহত হন। সেই থেকে এতটা সময় ধরে কানাডার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গেল এক বছর কানাডার মিসিসাগার একটি রিহ্যাব সেন্টারে আছেন নিবিড়।
গনমাধ্যামকে ২০২৪ সালের শুরুর দিকে ছেলের সর্বশেষ অবস্থা তিনি জানিয়ে ছিলেন। তখন তিনি জানিয়েছিলেন যে দ্রুতই নিবিড়কে রিহ্যাব সেন্টারে নেওয়া হবে। সেখানেই তাঁর জীবনের পরবর্তী সব চিকিৎসাসেবা শুরু হবে। এক বছর ধরে নিবিড় রিহ্যাব সেন্টারে আছেন।
বেশ চলছিল সবকিছু। ছেলে কানাডার একটি কলেজে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে পড়াশোনায় ব্যস্ত। বাবা উত্তরার বাড়িতে বসে একদিন একমাত্র ছেলেকে নিয়ে এই প্রতিবেদকের কাছে অনেক স্বপ্ন ও আশার কথা বলেছিলেন। কথাগুলো বলতে বলতে গর্বে বুক ভরে যাচ্ছিল তাঁর। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বাবাও দেশ-বিদেশে গানে গানে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছিলেন। শ্রোতাদের মাতিয়ে চলছিলেন। হঠাৎ একটি দুর্ঘটনা যেন মুহূর্তেই সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে দেয়। কানাডায় ঘটে যাওয়া সেই দুর্ঘটনায় ছেলে কুমার নিবিড় এতটাই মারাত্মকভাবে আহত হন যে এরপর ‘বাবা’ ডাক শোনা থেকে বঞ্চিত হন কুমার বিশ্বজিৎ। বেশ কয়েক মাস ধরেই এমন অবস্থা চলছে। সন্তানের মুখে বাবা ডাক শোনার প্রহর গুনছেন দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বাবা কুমার বিশ্বজিৎ। আশায় বুক বেঁধেছেন তিনি।