নাসিম রুমি: বলিউড অভিনেত্রী কাজল আবারও প্রমাণ করেছেন, অভিনয়ে তাঁর জাদু এখনও অম্লান। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তাঁর ওয়েব সিরিজ ‘দ্য ট্রায়াল’-এর নতুন সিজন। যদিও সিরিজের গল্প ও নির্মাণশৈলী সমালোচকদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। কাজলের অভিনয় আলাদা করে নজর কাড়ছে এবং সমালোচকরা এটিকে সিজনের একমাত্র শক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
‘সিজন ২’ শুরু হয়েছে প্রথম সিজনের তিন মাস পর। নয়নিকা সেনগুপ্ত (কাজল) এখন একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী। তাঁর স্বামী রাজীব (যীশু সেনগুপ্ত) কেলেঙ্কারিপূর্ণ ইমেজ মুছে নিজেকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন।
অন্যদিকে নতুন পার্টনার পরম মুনজাল (করনভীর শর্মা) ফার্মের ভারসাম্য পরিবর্তন করেন, আর সহকর্মী মালিনী (শীবা চাড্ডা) নিজের ফার্ম গড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। এই সিজনে আদালতের নানা মামলা এসেছে–যেমন, যৌন হয়রানির অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের দ্বন্দ্ব এবং নির্মাণ ত্রুটির কারণে শিশুমৃত্যুর বিচার। এই কেসগুলো আইন ও ন্যায়ের জটিলতা দেখানোর সুযোগ থাকলেও সমালোচকরা মনে করছেন, আদালতের দৃশ্যগুলো পৃষ্ঠস্থ এবং অতিরিক্ত নাটকীয়তায় ভরা।
সিরিজের কাহিনি মার্কিন জনপ্রিয় সিরিজ ‘দ্য গুড ওয়াইফ’-এর ভারতীয় রূপান্তর হলেও দ্বিতীয় সিজনে সেই দুর্বলতা আরও প্রকট হয়েছে। পরিচালক উমেশ বিস্ট অতিরিক্ত আবেগপ্রবণতা ও পুনরাবৃত্ত দৃশ্য যোগ করেছেন, যা দর্শককে ক্লান্ত করেছে।
তবে সব সমালোচনার মাঝেও কাজল আলাদা করে নজর কাড়ছেন। নয়নিকার চরিত্রে তিনি দৃঢ়তা, আবেগ এবং ভেতরের দ্বন্দ্বকে বাস্তবসম্মতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। সমালোচকরা মনে করছেন, দুর্বল চিত্রনাট্য ও অতিনাটকীয়তার মধ্যেও কাজলই এই সিজনের একমাত্র শক্তি। আলি খান ও শীবা চাড্ডাও সীমিত সময় পাওয়া সত্ত্বেও প্রশংসিত হয়েছেন। তবে যীশু সেনগুপ্তকে একই ধরনের ‘পতিত স্বামী’ চরিত্রে আটকে রাখা হয়েছে, যা তাঁর অভিনয়কে সীমিত করেছে।