নাসিম রুমি: ধর্ষণের অভিযোগে কারাবন্দি সঙ্গীত শিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল দাবি করেছিলেন, যে নারী তাকে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন, তিনি তার স্ত্রী। যদিও বাদী নারী নিজেকে নোবেলের স্ত্রী দাবি করলেও, আদালতে বিয়ের কাবিননামা জমা দিতে পারেননি নোবেলের আইনজীবী জসীম উদ্দিন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নির্দেশ দেন, নোবেলকে বাধ্য হয়ে অভিযোগকারী নারীকে বিয়ে করতে হবে। গত বৃহস্পতিবার কারাফটকে আদালতের নির্দেশে নোবেল ও বাদীকে বিয়ে হয়।
নোবেলের আইনজীবী জসীম উদ্দিন জানান, ধর্ষণ মামলার বাদী আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং আদালতের নির্দেশে নোবেল তার পক্ষ থেকে লিখিতভাবে বিয়ে করার অনুমতি চেয়েছিলেন। উভয় পক্ষের সম্মতিতে আদালত কারা কর্তৃপক্ষকে বিয়ের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয়।
নোবেল ২০ মে থেকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ইসরাত জাহান প্রিয়া নামের নারীকে সাত মাস ধরে একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছেন। পরে আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার কারাফটকে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এই বিয়ের সাক্ষী ছিলেন নোবেল ও প্রিয়ার পরিবার এবং তাদের কিছু নিকটাত্মীয়।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নোবেল ও প্রিয়ার বিয়ের দেনমোহর ছিল ১০ লাখ টাকা।
এর আগে, ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর নোবেলের বিরুদ্ধে প্রথম ধর্ষণ মামলা হয় চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায়। সেই সময় চট্টগ্রামের এক তরুণী তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন। এরপর, ১৫ নভেম্বর তিনি সালসাবিল মাহমুদকে বিয়ে করেন, কিন্তু তাদের সম্পর্কের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় তারা বিচ্ছেদ ঘটান।
প্রতিষ্ঠিত খ্যাতিমান শিল্পীদের গান কাভার করে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা নোবেল গানপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। তার গাওয়া মৌলিক গানগুলোও শ্রোতাদের মন জয় করেছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ‘সারেগামাপা’ রিয়েলিটি শোতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন।
তবে, তার সংগীত ক্যারিয়ার যেমন সাফল্য পেয়েছে, তেমনি তার বিতর্কিত জীবনযাপনও তাকে আলোচনায় রেখেছে। একের পর এক বিতর্কে জড়িত হয়ে নোবেল আজীবন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত।