নাসিম রুমি: তিনি নিজেও আজ আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে এই খবর জেনেছেন। আজ মঙ্গলবার বেশ খোশ মেজাজে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে প্রবেশ করেন নোবেল।
এর কিছুক্ষণ পরই হাস্যোজ্জ্বল মুখে উপস্থিত হন তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী ইসরাত জাহান প্রিয়া। তিনিই ছিলেন নোবেরের বিরুদ্ধে মামলার বাদী।
আদালতে প্রবেশ করে কাঠগড়ায় থাকা নোবেলের কাছে যান তিনি। বেশ আনন্দ নিয়ে দুজনে আলাপ করেন কিছুক্ষণ।
তাদের আইনজীবীরা জানান, আদালতের নির্দেশে গেল ১৯ জুন কারাগারে বিয়ে করা নোবেল-প্রিয়ার সংসারে শিগগিরই নতুন মেহমান আসতে যাচ্ছে। অর্থাৎ, বাবা-মা হতে চলেছেন তারা। সুখী ও নতুন জীবনের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রিয়া।
ডেমরা থানায় হওয়া নারী নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি মামলায় এক হাজার টাকা বন্ডে জামিন পেয়েছেন নোবেল। এরপর নোবেলকে আদালত থেকে পুনরায় কারাগারে নিতে যায় পুলিশ। এসময় সারাক্ষণ প্রিয়ার হাত ধরেই হাঁটছিলেন গায়ক। আদালতের লিফটে ওঠার সময়ও প্রিয়াকে সঙ্গে নেন তিনি।
কিছুক্ষণ পর জামিনের আদেশ ঘোষণা করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহাবুব। পরে প্রেস ব্রিফিংয়ে জামিনের বিষয়ে আপত্তি না থাকার কথা জানান প্রিয়া। তবে গায়ক নোবেল নিজে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি।
গত ২০ মে থেকে কারাগারে ছিলেন নোবেল। আদালতে উঠানোর পর ডেমরা থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলায় এক হাজার টাকা বন্ডে জামিন পেয়েছেন নোবেল।
অভিযোগে বলা হয়, ওই নারীকে সাত মাস ধরে একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছিলেন এই সংগীতশিল্পী।
এই মামলার শুনানিতে গত ১৮ জুন (বুধবার) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক নাজমিন আক্তার নোবেলকে জামিন দেওয়ার শর্ত হিসেবে বাদীকে বিয়ে করার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মেনে বিয়ে করে জামিন পান গায়ক।
গত ১৯ জুন (বৃহস্পতিবার) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে আনুষ্ঠানিকভাবে নোবেল বিয়ে করেন মামলার বাদী ইসরাত জাহান প্রিয়াকে।
বিয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন উভয় পরিবারের সাক্ষী নাজমা হোসেন, সাবিহা তারিন, মো. খলিলুর রহমান এবং মো. সাদেক উল্লাহ ভূইয়া।
কারা সূত্রে জানা গেছে, এই বিয়েতে দেনমোহর নির্ধারণ করা হয় ১০ লাখ টাকা।