নাসিম রুমি: নানা কারণে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পক্ত কারিনার ক্যারিয়ার। কারিনা কাপুরের জীবনসঙ্গী সাইফ আলী খানের অনেক আত্মীয় স্বজনও পাকিস্তানে থাকেন। সেই আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে সাইফ-কারিনার। পাকিস্তানে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে কারিনারও।
এদিকে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকে ভারত-পাকিস্তান সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান প্রায় বন্ধ। বর্তমানে পাকিস্তানি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ভারতে আসা-যাওয়া বন্ধ। সংস্কৃতি অঙ্গনের পরিস্থিতি এতটাই সংবেদনশীল যে, সমাজমাধ্যমে পাকিস্তানি ক্রিকেটতারকা থেকে নায়ক-নায়িকাদের কার্যকলাপ দেখা যায় না ভারতে। কয়েক বছর আগেও পরিস্থিতি এমন ছিল না।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সৌজন্যের সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কের সুবাদে পাকিস্তানের অনেক তারকা ভারতে এসে কাজ করতেন। ভারতের তারকাদেরও পাকিস্তানে তুমুল জনপ্রিয়তা রয়েছে।শাহরুখ খান, মাধুরী দীক্ষিত কিংবা কারিনা কাপুর সবাই পাকিস্তানে জনপ্রিয়।
ভারতীয় এসব তারকারাও পাকিস্তানের প্রতি সংবেদনশীল। একটি সাক্ষাৎকারে কারিনা মন্তব্য করেন, ‘‘আমাকে পাকিস্তানি হিসেবে দিব্যি চালিয়ে দেওয়া যায়!’’
কারিনা তার ক্যারিয়ারের শুরুতেই ‘রিফিউজি’ সিনেমাতে পাকিস্তানি মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তার পর ‘কুরবান’ সিনেমাতেও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবেই পর্দায় হাজির হন। এ ছাড়াও পাকিস্তানে এক অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী নিজেই জানান, ‘‘সইফ আলি খানের বেশ কিছু আত্মীয়-পরিজন পাকিস্তানে রয়েছেন। তারা প্রায়ই ফোন করে পাকিস্তানে আসার নিমন্ত্রণ জানান।’’
কারিনাও সময় সুযোগ পেলে পাকিস্তানে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
কারিনা ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের শিশুকন্যাদের পড়াশোনার গুরুত্ব কতটা, তা বোঝাতেই সেখানে যেতে চাই।’’
সম্প্রতি দুবাই গিয়েছিলেন কারিনা সেখানে যাওয়ার পরে পাকিস্তানি পোশাকশিল্পী ফরাজ মানানের সঙ্গে দেখা হয় অভিনেত্রীর। অতীতেও একাধিক বার ফরাজের পোশাক সংস্থার ‘মডেল’ হিসেবে কাজ করেছেন কারিনা। দুবাইয়েও তারই বিপণি সংস্থার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন কারিনা।
সেই অনুষ্ঠানের বেশ কিছু ছবি সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছিলেন ফরাজ। পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে পাকিস্তানি পোশাকশিল্পীর সঙ্গে কারিনা কাপুর খানের সেই সব ছবি ঘিরে বিস্তর বিতর্ক হয়। এখন অবশ্য সবকিছু স্বাভাবিক।