নাসিম রুমি: একেই মনে হয় বলে ভাগ্যের পরিহাস। ১৯৮২ সালে সুপার ডুপার হিট ছবি ‘ডিস্কো ডান্সার’ মুক্তি পেতে রাতারাতি বলিউডের পরিচিতি পায় সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী। এর আগে ‘মৃগয়া’ ছবির জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। তবে এরপরও ভয়ঙ্কর স্ট্রাগলের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন মহাগুরু।
সেই সময় বহু ছবি তাঁকে অফার হলেও সেই সময়ের প্রথমসারির নায়িকারা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চাইতেন না। কারণ তাঁরা ভাবতেন কবে স্টার হবেন এই বাঙালি হিরো, তার জন্য এখন কাজ কেন করা? তাই মিঠুন এক অনুষ্ঠানে বলেন, “আমি ভেবেছিলাম আমি দ্বিতীয়সারি থেকে কখনও প্রথমসারির ছবিতে কাজ করতেই পারব না।”
ঠিক সেই সময় তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন জিনাত আমন। সালটা ছিল ১৯৮৩ ‘তাকদির’ ছবির জন্য পরিচালক জিনাত আমনের কাছে যান আর বলেন, তাঁর আগামী এই ছবিতে জিনাতের বিপরীতে এই নতুন ছেলেটিকে ভেবেছেন। নাম মিঠুন চক্রবর্তী।
জিনাত আমন সঙ্গে সঙ্গে জানান, মিঠুন দারুণ দেখতে একজন অভিনেতা তিনি কাজ করবেন। তৈরি হয় ছবি ‘তাকদির’। মিঠুন আরও বলেন, “এই ছবির পর থেকেই তাঁর ভাগ্য ফেরে। এরপর সব হিরোইন তাঁর সঙ্গে কাজ করতে রাজি হন, কারণ সেই সময় জিনাত আমন প্রথম সারির সিনেমার টপ হিরোইন ছিলেন। এর জন্য আমি সারাজীবন ধন্যবাদ জানাবো জিনাত জিকে”। উনার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।